ফরিদপুরে প্রচন্ড তাপদাহে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। সপ্তাহজুড়ে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ফরিদপুরের হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শিশু রোগীর। ডায়রিয়া নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে কয়েক শতাধিক শিশু। এদিকে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাওয়ায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা।
ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে গত সাত দিনে বহির্বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে রোগী। তাদের অধিকাংশ ঠাণ্ডা, জ্বর, ডায়রিয়া, হাত-পায়ে চুলকানি সমস্যা জনিত। গত ১৮ জুলাই জেলা শহরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসাপতালে গিয়ে দেখা যায়, জেলা সদর ও আশপাশের এলাকা থেকে অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে নিয়ে ভিড় করেছে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। তবে ফরিদপুর অঞ্চলের বিশেষায়িত এ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলছে এতে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। শিশুদের অভিভাবকেরা একটু সচেতন হলেই সাময়িক এই সমস্যা থেকে উত্তোরণ হওয়া সম্ভব। শিশু হাসপাতালের তথ্য মতে, গত ৬/৭ দিনের গরমে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। শুধু গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুর সংখ্যা ছিল প্রতিদিন গড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’। শহরের টেপাখোলা এলাকা থেকে আসা সুর্মিলা সাহা বলেন, প্রচণ্ড গরমের আমার বাচ্চা শরীরের চুলকানি ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট ফোসকা উঠেছে। কিছু খাচ্ছে না। হাসপাতালে রোগীর চাপ তাই অপেক্ষায় আছি। শহরতলীর তাম্বুলখানা থেকে আসা গৃহিণী চামেলি বেগম বলেন, তার দুই বছরের শিশু সন্তান সাইদ শেখকে নিয়ে শহরের শিশু হাসপাতালের এসেছেন। তিনি জানান, দুই দিন হলো বাচ্চার জ্বর হয়েছে। ডাক্তার দেখানো হয়েছে। আমার মতো অনেক মা তাদের শিশুদের নিয়ে ভিড় করছে এ হাসপাতালে। রোগীর প্রচুর চাপ। ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপতালে চিকিৎসক মৃত্যুঞ্জয় সাহা স্বপন বলেন, ‘গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই প্রায় ৪শ’ থেকে ৫শ’ শিশু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। তিনি বলেন, এ সময়ে শিশুরা যেন ঘরের বাইরে না যায়। এছাড়া বেশি বেশি ঠাণ্ডা খাবার বা স্যালাইন খাওয়ানো যেতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন