নোবেল বিজয়ী একমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
গতকাল বুধবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান এবং বিচারপতি জাহিদ সারওয়ার কাজলের ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ১৩ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে ২ মাস স্থগিত থাকবেÑ মর্মে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে নাÑ এই মর্মে জারিকৃত রুল নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দেয়া হয়।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে নাÑ জানতে চাওয়া হয়।
বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি এবং বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চের দেয়া এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে সরকারপক্ষ। গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑ গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুর হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন। আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন