নোবেল বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী অর্থর্নীতিবিদ ড.মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও ৮টি মামলা করা হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দাবি করে ‘গ্রামীণ টেলিকম’র সাবেক ৮ কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গত ৯ নভেম্বর মামলাগুলো দায়ের করা হয়। গতকাল রোববার মামলার বাদী পক্ষের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার এইচএম সানজিদ সিদ্দিকী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মামলার বাদী ৮ কর্মকর্তা ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-২০০৯ অর্থ বছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলে দিতে হবে। এই লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ টেলিকমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশ প্রদানের পরও এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে গত ৯ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রম আইনের ২১৩ ধারা মোতাবেক পৃথক ৮টি মামলা করেন।
আদালত মামলা গ্রহণ করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জবাব দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেড, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: এর আগে ৪৩৭ কোটি টাকা দাবি কওে করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১০টি মামলা হয়। ২০১৭ সালে ১৭৬ জন কর্মচারি বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন। তবে তাদের দাবিকৃত অর্থ পরিশোধের প্রেক্ষিতে মামলাগুলো প্রত্যাহার হয়ে যায়। কিন্তু এ মামলার মধ্যস্থতাকারী আইনজীবী ইউসুফ আলী আকন্দকে অস্বাভাবিক অংকের ফি নিয়েছেন-দাবি করে তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই অনুসন্ধানে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকম’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনে ড.মুহাম্মদ ইউনূসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে-মর্মে ইঙ্গিত দিয়েছে সংস্থাটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন