ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রধান সড়কসহ অন্যান্য সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে জমে পানি। এবড়োথেবড়ো এ সকল সড়কে যানবাহন চলতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত দেড় মাসে পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন দু’জন। শরীয়তপুর-চাঁদপুর ভায়া ভেদরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িহাট থেকে ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার এলাকার নাজুক অবস্থা দীর্ঘ দিন ধরে। তবু যেন দেখার কেউ নেই।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুরের অধিবাসী আবুল হোসেন বলেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কে বেড়েছে দূরপাল্লার বাসসহ গণপরিবহনের চাপ। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে শরীয়তপুরসহ ছয়টি উপজেলায় সরকারি বিআরটিসির এসি বাস চালু হওয়ায় এ মহাসড়কে চাপ বেড়েই চলছে। আর এই সড়কে খুলনা-চট্টগ্রামের দূরপাল্লার বাস চলাচল করার কারণে ক্ষত বিক্ষত রাস্তায় জীবন হাতে নিয়ে চালক ও যাত্রীদের চলাচল করতে হয়। তবে সামান্য বৃষ্টিতে এ ব্যস্ত সড়কের গর্তগুলোতে পানি জমে পুকুর হয়ে যায়।
খুলনা থেকে চট্টগ্রামগামী যাত্রীবাহী বাস অথৈ পরিবহনের চালক আনসার আলী বলেন, সরু এ সড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভারভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে আমার বাসটি উল্টে ২৯ জন আহত হন। এ ছাড়া প্রায়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক খাদে পড়ে যায়। মোটরসাইকেল সিএনজি আর নসিম-বটবটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা নিত্যনৈমত্তিক। ফলে সরু ও খানাখন্দে ভরা থাকায় এ সড়কে প্রায় যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ভেদরগঞ্জ বাজারের প্রবেশ মুখ টেকের বাজার শহীদ মহিউদ্দিন সড়কে একবার যানযট সৃষ্টি হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যায়।
স্থানীয় পথচারী শিক্ষক আপেল মাহমুদ বলেন, প্রায় প্রতিদিনই সকাল থেকে এ সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে হাটবার বৃহস্পতি ও রবিবারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস ট্রাক আটকে থাকে। ফলে আমরা পায়ে হেটেও চলতে পারিনা। বৃষ্টি হলে পানিতে ডুবে থাকা সড়কের গর্তের আকার বোঝা মুশকিল। ফলে গর্তে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। এ বিষয়ে দেখার কি কেউ নেই?
রাজধানীর গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া থেকে ভেদরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আসা বিআরটিসির বাসের চালক রবিউল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু থেকে নামলেই বোঝা যায় কত ধানে কত চাল। সড়ক এত সরু যে একটা বাস এলে আরেকটা বাসকে পাস কাটিয়ে যাওয়া কষ্টকর। অনেক বাস খাদে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। শরীয়তপুর পার হওয়ার পর শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের অবস্থা আরও খারাপ। অনেক কষ্টে বাস চালিয়ে আসতে হয়।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুল হক জানান, নতুন করে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কে ৪ লেনের কাজ চলছে। তাই এই সড়কের সংস্কারের কোনো বরাদ্দ নেই। আমরা ৩ বছর মেয়াদি উন্নয়নের সীমিত বরাদ্দের জন্য লিখেছি। বরাদ্দ এলে এ সড়কের কাজ করা সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন