নাটোরে অশ্লীল ছবি এডিটের মাধ্যমে এক নারীকে ব্ল্যাকমেইল করার অপরাধে সহযোগিতা করার কারণে শ্যম দাস নামের এক ব্যাক্তিকে ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়াও তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় অনাদায়ে আরোও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুন্যাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় দেন। একই মামলায় একই এলাকার বাবলু চন্দ্র নামে এক আসামি ছিলেন। তবে তিনি মারা যাওয়ায় তার নাম মামলা থেকে খারিজ হয়ে যায়। সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রতিবেশী এক নারীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিতেন বাবলু চন্দ্র। এতে সাড়া না দেয়ায় তিনি শ্যাম দাসের মাধ্যমে ওই নারীর ছবি এডিট করে অশ্লীল ছবিতে রূপান্তর করেন। এই ছবি দেখিয়ে ওই নারীকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টাও করেন বাবলু। এতেও লাভ না হওয়ায় তিনি ওই নারীর বাবাকে ছবিটি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে ছবিটি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। পরে তিনি কয়েকজনকে সেই ছবি দেখান। এ নিয়ে দু’জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৪ মে থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন ওই নারী। পরে তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। মামলাটি বিচারের জন্য রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে আসার পর ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এরই মধ্যে প্রধান আসামি বাবলু মৃত্যুবরণ করেন। পরে শ্যাম দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আদালত এ রায় দেয়। ইসমত আরা আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে জরিমানার ৫ লাখ টাকা ওই নারী পাবেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি শ্যাম দাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন