শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাদ্রাসা ছাত্রী উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার-১

রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২২, ১:৩৩ পিএম

 

পৌর শহরের টাঙ্গন ব্রীজের নিচে থেকে বাস্তাবন্দি অবস্থায় মাহফুজা খাতুন (১৪) নামে মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধারের ঘটনায় মোছা: গুলজান আক্তার (৩৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই মাহফুজা খাতুনের ভাই এমদাদুল হক বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অপর আসামীরা হলেন দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ভাবকী বিজয়পুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মো: আসহাবুল ইয়ামিন (১৭), তার পিতা আমিরুল ইসলাম (৪৮), তার মা জমিলা বেগম (৩৭) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন। মামলার বিবরণে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত গুলজান আক্তার কিছুদিন পূর্বে পাশ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ভাবকীতে মাহফুজা খাতুনদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকতেন। ওই সময় প্রতিবেশী ও মামলার ১নং আসামী আসহাবুল ইয়ামিনের সাথে কৌশলে মাহফুজার প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করে দেন। ওই ভাড়া বাড়িতে ইয়ামিন ও মাহফুজার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।

কোন এক সময় কৌশলে গুলজান আক্তার ইয়ামিন ও মাহফুজার দৈহিক সম্পর্কের ভিডিও মোবাইলে গোপনে ধারন করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করেন। পরে স্থানীয়রা ইয়ামিন ও মাহফুজাকে দৈহিক মেলামেশার সময় হাতে নাতে ধরে ফেললে মাহফুজার পরিবার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন। ছেলে ও মেয়ের বয়স কম হওয়ায় রেজিষ্ট্রি বিয়ে দিতে না পেরে ইজাব কবুলের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তিতে গুলজানকে ভাড়া বাড়ি থেকে বের করে দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও এরই ফলশ্রæতিতেই ইয়ামিন, গুলজান সহ মামলার অন্যান্য আসামীরা গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের জন্য খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা মহিলা কাওমি মাদ্রাসায় মাহফুজা ওজু করতে গেলে কৌশলে তাকে ধরে নিয়ে আসে এবং প্রাণে মেরে ফেলার জন্য গলায় ওড়না পেচিয়ে বস্তায় ঢুকিয়ে টাঙ্গন ব্রীজের উপরে আসার পর কতিপয় মুসল্লি দেখে ফেললে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাহফুজাকে রেখে তারা পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা মাহফুজাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সদর থানা পুলিশ তার জবানবন্দি রেকর্ড করে। এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কামাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে পুলিশ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন