কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দুই গ্রামের ঝগড়ায় হুমায়ুন (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। নিহত হুমায়ুন রায়খলা গ্রামের মৃত কামাল মেম্বারের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সকালে ধূলদিয়া ইউনিয়নের রায়খলা গ্রামে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে সতেরদ্রোন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সতেরদ্রোন এবং রায়খলা গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এ ঝগড়া ছড়িয়ে পড়ে রায়খলা ও সতেরদ্রোন গ্রামে। এতে দুই গ্রামের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে গতকাল সকালে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে পুনরায় দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হলে দেশিয় অস্ত্রের আঘাতে হুমায়ুনের মৃত্যু হয়। আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন। এদের মধ্যে মামুন, গোলাপ মিয়া, কবীর, কাইয়ুম, রুবেল, হেলিম, আলম, রহিম উদ্দিন ও ছেত্তারকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংবাদ পেয়ে কটিয়াদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ৩১ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রায়খলা গ্রামের অফিল উদ্দিন জানান, আমাদের গ্রামের লোকজন সতেরদ্রোন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলতে গেলে ওই গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সতেরদ্রোন গ্রামের লোকজন গতকাল সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের গ্রামে হামলা ও তাণ্ডব চালায়। এ সময় বল্লমের আঘাতে হুমায়নের মৃত্যু হয়। হামলাকারীরা ধূলদিয়া বাজারে নিহত হুমায়ুনের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের দোকানের সমস্ত মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদত হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩১ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়া হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন