নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে। এই অংশ হিসেবে গতকাল হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ সংলাপে অংশগ্রহণ করে। এ সময় হাসানুল হক ইনু মামা বাড়ির আবদারের মতোই ইসলামী ধারার তথা ধর্মভিত্তিক ও ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করার আবদার করেছেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ইসলামী চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রদান না করা এবং নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসির সংলাপে অংশ নেয়। শুধু তাই নয় দেশের জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে বিদেশী কূটনীতিকদের তৎপরতায় সিইসি হাবিবুল আউয়ালকে গুরুত্ব না দেয়ার অনুরোধ করেন।
দলটির তার প্রস্তাবে জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারসমূহের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠান; কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়সহ কোনও রাজনৈতিক বিতর্কেই নির্বাচন কমিশনের না জড়ানো; নির্বাচন নিয়ে অসাংবিধানিক ও আইন বহির্ভূত দাবিকে প্রশ্রয় না দেওয়া; নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনৈতিকদের নাক না গলানো; জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব নিয়ে কোনও সাংবিধানিক, আইনগত ও প্রশাসনিক ঘাটতি বা দুর্বলতা থাকলে তা সংস্কার; ইভিএমের চিহ্নিত সমস্যার সমাধান এবং একইসঙ্গে ইভিএম ও ব্যালট পদ্ধতিতেও ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি; ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধনের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন; প্রবাসী ভোটার নিশ্চিতকরণের সুপারিশ করে।
জাসদ তার প্রস্তাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের কঠোর প্রয়োগ করে ইসলামী ধারার রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল এবং এ ধরনের দলকে নিবন্ধন প্রদান না করা ও একই নাম বা কাছাকাছি নামে কোনও রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবি তুলে ধরে।
ইসির কাছে হাসানুল হকের দলের এমন প্রস্তাবের খবর গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। নেটিজেনদের বেশির ভাগই বলছেন, ইনু নির্বাচন কমিশন নামের মামা বাড়িতে গিয়ে ইসলামী ধারার দল নিষিদ্ধের আবদার করছেন। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন