শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচন সামনে রেখে নতুন এক বিপদ দেখছি : ইনু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:০৩ পিএম | আপডেট : ৭:০৪ পিএম, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে নতুন এক বিপদ দেখছি। আর সেই বিপদটা হচ্ছে, কিছু মহল নির্বাচন নিয়ে গণতন্ত্রের কথা বলছে আবার নির্বাচনের আগেই সরকার উৎখাতের চক্রান্ত করছে।

তিনি বলেন, সরকার উৎখাতের চক্রান্তের আড়ালে আমরা দেখছি রাজাকার, জঙ্গি এবং জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক চক্র পুনর্গঠিত হচ্ছে এবং এদিক-ওদিকে হামলা করার চেষ্টা করছে। সুতরাং দেশে একদিকে গণতন্ত্রের ভিত্তির ওপর হামলার চক্রান্ত, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মারার দুর্নীতিবাজদের চক্রান্ত হচ্ছে। এই বিপদ-আপদ সামনে নিয়ে আমরা ২০২৩ সাল শুরু করেছি এবং ২০২৪ সালে আমরা ভোট করতে যাচ্ছি।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বিএসডি) আয়োজিত ‘বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা এসব কথা বলেন হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, খুনি-রাজাকারদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির এক থালায় ভাত খাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু এ প্রস্তাবের কোনো প্রশ্নই আসে না। রাজাকারদের সঙ্গে এক থালায় ভাত খাওয়ার দিন শেষ। রাজাকারদের সঙ্গে জেনারেল জিয়া এবং খালেদা জিয়া একসঙ্গে ভাত খায়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কোনো শক্তি এক থালে ভাত খেতে পারে না। সে কারণে ১০ দফা বা ২৭ দফা দাবি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে রাজাকারদের ফিরিয়ে আনার এবং পুনর্বাসন করার জঘন্য প্রস্তাব।

জাসদ সভাপতি বলেন, বিএনপির এই ২৭ দফার কালো দলিল হচ্ছে জামায়াত-জঙ্গিসহ সব রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তারা সরকার গঠন করবে। আমাদের জান থাকতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বিকল্প কোনো রাজাকার ক্ষমতায় আসতে পারে না। সুতরাং নির্বাচন যথাসময়ে করতে হবে এবং রাজাকারদের ক্ষমতা পুনর্দখলের অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। পাশাপাশি রাজাকার সিন্ডিকেটসহ দুর্নীতির সিন্ডিকেট ধ্বংস করতে হবে। এ কারণেই ২০২৩ সালকে আমরা কঠিন এবং সংকটকাল হিসেবে দেখব। আর এই ১৪ দল হচ্ছে সংকট মোকাবিলার সবচেয়ে বড় ঢাল।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, বিএসডি’র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমদ মুক্তা, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকী প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
শওকত আকবর ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:৩৬ পিএম says : 0
আপনার দলের একজন কর্মি।খুলনার রাজপথ কাপানো আন্দোলন, সভা, সমাবেশ, মিছিল,মিটীংবক্তৃতা,বিবৃতি, আর কোন দাবী নাই তত্তাবদায়ক সরকার চাই।কত কষ্টার্জিত আন্দলনের ফসল?আজ কেনো আবার সেই তত্বাবদায়ক প্রশ্নে বিএনপি আন্দলন করছে।জনগনের কাছে জবাব দেবে কে???
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন