শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদ হাওলাদারের বিরেুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও আ.লীগ নেতা কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ করেছেন ১নং ধানসাগর-বানিয়াখালী ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন সিদ্দিক গাজী। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় তার সাথে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান স্বপন, আ.লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর জব্বার, প্রভাষক সাব্বির আহম্মেদ মুক্তা, জেলা আ.লীগ নেতা এম সাইফুল ইসলাম খোকনসহ খোন্তাকাটা ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে আ.লীগে নেতৃবৃন্দ জানান, ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদ হালাদার বিএনপি পরিবারের সদস্য। তার আত্মীয়-স্বজন, বোন-ভগ্নিপতি ও ভাগিনারা বিএনপির কর্মী সমর্থক।
এছাড়া সে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির। ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদের নির্দেশে গত শুক্র ও শনিবার একটি নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে তার বোন ভগ্নিপতি ও ভাগিনারা ধানসাগর এলাকার বাবুল হাওলাদার ও তার ভাই ছিদ্দিক হাওলাদারকে বেধরক মারপিট করে। এসময় মারপিট ঠেকাতে গেলে ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন সিদ্দিক গাজীকেও মারপিট করে তারা। এমনকি আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদ মোবাইল ফোনে সিদ্দিক গাজীকে হুমকি দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন তারা। ঘটনাটি শরণখোলা থানা পুলিশ ও উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জানতে চাইলে শরনখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদ হাওলাদার বলেন, ওই মারামারির সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। প্রতিপক্ষরা আমাকে উদ্দ্যেশ্য মূলকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্য অভিযোগ দিচ্ছে। এছাড়া আমার বাবা আ.লীগের একজন সদস্য। কিন্তু আমার বোন-ভগ্নিপতি ও ভাগিনারা কোন দল করে তার দায়ভার আমার নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন