ছুরিকাঘাতে সাত জনকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করলো জাপান। ২০০৮ সালে টোকিওর আখিবারা জেলায় সেই হত্যার ঘটনা ঘটে।
দেশটির বিচার মন্ত্রী ইয়োশিহিসা ফুরুকাওয়া বলেছেন, তোমোহিরো কাতো হামলার জন্য পরিকল্পনা করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। খবর আল-জাজিরার।
বিচার মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতে পর্যাপ্ত আলোচনার মাধ্যমে এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার সত্যতার ওপর ভিত্তি করে, আমি অত্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করার পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অনুমোদন দিয়েছি।’
২০০৮ সালের জুনে ভিড়ের মাঝে একটি ট্রাক তুলে দিলে সে ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হন। এরপর ছুরিকাঘাত করেন আরও বেশ কয়েকজনকে। ঘটনাস্থলেই গ্রেপ্তার হন ২৫ বছর বয়সি ওই খুনি।
হামলা চালানোর আগে ওই হামলাকারী অনলাইনে একটি বার্তা পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি আখিবারায় মানুষ মারবো। আমার একটাও বন্ধু নেই, আমাকে অবজ্ঞা করা হয় কারণ আমি কুৎসিত। আমি আবর্জনা থেকেও খারাপ।’
জাপানের শীর্ষ আদালত ২০১৫ সালে কাতোর মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করে বলেন যে, ‘উদারতার কোন ভিত্তি নেই’। হামলাটি ছিল সাত বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা।
জানা গেছে, কাতো একজন ব্যাংক কর্মকর্তার সন্তান। জাপানের উত্তরের একটি শহরে তাঁর বেড়ে ওঠা। একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করলেও তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় সে এবং অবশেষে একজন গাড়ি মেকানিক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেয়।
এই বছর জাপানে কাতোর ফাঁসি কার্যকর প্রথম ঘটনা এবং এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তিন জন বন্দিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন