চীনা জনসংখ্যাবিদরা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন যে, ঋণাত্মক জনসংখ্যা বৃদ্ধি আগামী বছরগুলোতে প্রভাব ফেলবে এবং ২০২৫ সালের আগে জনসংখ্যা ঋণাত্মক বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সময়কালে ২০২১-২৫ পর্যন্ত চীনের মোট জনসংখ্যার হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে এবং একটি ঋণাত্মক বৃদ্ধির হারে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের জনসংখ্যা সমিতির ২০২২ সালের বার্ষিক সম্মেলনে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের জনসংখ্যা ও পরিবার বিষয়ক প্রধান ইয়াং ওয়েনঝুয়াং এই অনুমানটি দিয়েছেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য জনসংখ্যার সামগ্রিক মান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার পরিবর্তন অত্যাবশ্যক। চীনের ২৯টি অঞ্চলের দ্বারা প্রকাশিত ২০২১ সালের জন্ম তথ্য অনুসারে, কয়েকটি প্রদেশে কয়েক দশকের মধ্যে নতুন জন্মের সংখ্যা সবচেয়ে কম ছিল। সর্বাধিক জন্মের একমাত্র শীর্ষ ১০টি প্রদেশ হল গুয়াংডং, হেনান, শানডং, সিচুয়ান, হেবেই, আনহুই, গুয়াংসি, জিয়াংসু, হুনান এবং গুইঝো। শুধুমাত্র গুয়াংডং প্রদেশে ১০ লাখেরও বেশি নতুন জন্ম হয়েছে, চীনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গেøাবাল টাইমস জানিয়েছে। প্রাদেশিক তথ্য মোতাবেক, মধ্য চীনের হুনান প্রদেশে প্রায় ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জন্মের সংখ্যা ৫ লাখের এর নিচে নেমে এসেছে। চীনের তৃতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার সাথে হেনান, ১৯৭৮ সালের পর প্রথমবারের মতো ৮ লাখের এর কম জন্ম হয়েছে। এদিকে, পূর্ব চীনের জিয়াংসি প্রদেশে জন্মের সংখ্যা ১৯৫০ সালের পর প্রথমবারের মতো ৪ লাখের এর নিচে নেমে এসেছে। গেøাবাল টাইমসের সঙ্গে কথা বলার সময় চীন ও বিশ্বায়ন কেন্দ্রের জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ এবং সিনিয়র গবেষক হুয়াং ওয়েনজেং বলেছেন, এটি দীর্ঘ সময়ের নিম্ন প্রজনন হারের অনিবার্য ফলাফল। তিনি বলেন, চীনের জন্মহার এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সঙ্কুচিত হতে থাকবে এবং প্রথম স্তরের শহরগুলিতে জন্মহার হ্রাস অব্যাহত থাকবে। তৃতীয় সন্তান নীতি কিছু সমস্যার উপশম করতে পারে, তবে স্বল্পমেয়াদে প্রবণতাটি উল্টানোর সম্ভাবনা নেই। গেøাবাল টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন