পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে একটি পরমাণু যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন হুঁশিয়ারি বার্তাই দিলেন ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্যার স্টিফেন লাভগ্রোভ। তার মতে, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলো যথেষ্ট আলোচনা করছে না বলেই এই হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি স্নায়ুযুদ্ধের সময়েও প্রতিদ্ব›দ্বী শক্তিগুলোর নিজেদের মধ্যে আরও ভালো বোঝাপড়া ছিল। স্টিফেন বলেন, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে আলোচনা না হওয়ার কারণে পশ্চিমাদের সঙ্গে অনেক কিছু নিয়েই ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হচ্ছে তাদের। আমাদের বরঞ্চ মুখে মুখে তর্ক চলা উচিৎ, যুদ্ধে যুদ্ধে নয়। আর এখনকার যুগে সবার কাছেই ভয়াবহ অস্ত্র আছে। এমন সময় স্টিফেন এই হুঁশিয়ারির কথা বললেন যখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে ফোনালাপের কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। গত মার্চ মাসের পর দুই নেতার মধ্যে আর আলোচনা হয়নি। তাইওয়ানকে ঘিরে দুই দেশের সম্পর্কে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়েই কথা হতে পারে এবারের ফোনালাপে। স্যার স্টিফেন ওয়াশিংটনের ‘সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’-এ একটি বক্তৃতা দেয়ার সময় এসব কথা বলেন। তার আলোচনার বিষয়বস্তু যদিও ছিল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন বিশ্বে যে অবস্থা চলছে তা সোভিয়েত আমলের স্নায়ু যুদ্ধের থেকেও ভয়াবহ। সে সময়েও পশ্চিমা দেশগুলো আলোচনার মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং এর সক্ষমতাকে ভালো বুঝতে পেরেছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নও সেটি করতো। এর ফলে উভয় পক্ষই আত্মবিশ্বাসী ছিল যে, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে না এবং এতে পরমাণু যুদ্ধেরও হুমকি নেই। কিন্তু আজ আমাদের মধ্যে সেটি দেখা যাচ্ছে না। ফলে চীনের মতো শক্তিগুলো ভবিষ্যতে আমাদের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তিনি আরও বলেন, এখন পশ্চিমা দেশগুলোর উচিৎ আবারও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পদক্ষেপ হাতে নেয়া। এতে করে যে ভয়, অবিশ্বাস এবং উত্তেজনা রয়েছে তা কমে যাবে কিংবা শেষ হয়ে যাবে। এটি আমাদের ভবিষ্যতের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করবে। দেশগুলো যখন নিজেদের সামরিক সক্ষমতা এবং পরিকল্পনা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে পারবে তখন এমনিতেই উভয় পক্ষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং বিশ্বাস জন্ম নেবে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন