আশাশুনি উপজলার কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা প্রাণ হাতে নিয়ে স্কুল পরিচালনা করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি দীর্ঘকাল সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৮৬ জন। চলতি ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ৯৪ জন। ফলাফল সন্তোষজনক। বিদ্যালয়ের আধাপাকা ও পাকা বিল্ডিং-এ ক্লাস ও অফিস পরিচালনা করা হয়ে থাকে। বর্তমান বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ও শিক্ষক মিলনায়তন ১৯৭২/৭৩ সালে নির্মিত দু’কক্ষ বিশিষ্ট একতলা বিল্ডিং এ চালু আছে।
এ বিল্ডিং-এর ওপর ১৯৯৭ সালে ২য় তলার নির্মাণ কাজ করা হয়। এই ২য় তলার দু’টি কক্ষে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে। অফিস রুম টাইলস বসানা হয়েছে। সব মিলিয়ে বিল্ডিংটি মোটামুটি দর্শণীয় হলেও বর্তমান বিল্ডিং এর অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। মেঝে, দেওয়াল, ছাদে ফাঁটল ধরেছে। অবস্থা খুবই ঝুকিপূর্ণ। মেঝের টাইলসও ফাকা হয়ে গেছে। বিল্ডিং-এর পেছনে ২০০০ সালে সারিবদ্ধভাবে মেহগনি গাছ লাগান হয়েছিল। গাছগুলো এখন অনেক বড় হয়েছে। গাছের শেকড় বিল্ডিং এর ভীতের মধ্যে ঢুকে গেছে। ফলে বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান খান বলেন, ভবনটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মান না করা হলে যেকোন সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান, এখনই বিল্ডিং এর পেছনের মেহগনি গাছগুলো কেটে ফেলান দরকার। সাথে সাথে ভবনটি ভেঙে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য তারা উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন