বিএনপি কর্মসূচির নামে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে নিরাপত্তা বাহিনী এর জবাব দেবে। আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে। রোববার সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তাদের রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। সেই কৌশলে তারা নির্বাচনে যাবে কী যাবে না, এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু রাস্তাঘাট বন্ধ করবে, জানমালের ক্ষতি করবে, এটা আমরা করতে দেবো না। তারা প্রেস ক্লাবে রোজ মিটিং করছে, আমরা বাধা দিচ্ছি না। তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে যে সভা বা প্রচার করবে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যখনই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে বা জানমালে আঘাত করবে সেখানে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চুপ থাকবে না, তাদের কাজ তারা করবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ আন্দোলনে নামবে কি না, এটা জনগণের ওপর। জনগণ নামলে তো নামবে। তারা এটা নিশ্চিত যে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আলোকিত হচ্ছে, সেখানে এ দেশের মানুষ আর কখনই অন্ধকারে ফিরে যাবে না।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকাজুড়ে নিরাপত্তাবলয় সৃষ্টি করা হবে। ধানমন্ডি লেকেও নৌপুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। ওই এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ডিএমপির নির্দেশনায় হবে। বিদেশি মিশনের কূটনৈতিকদের ধানমন্ডি ও বনানী কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণে যাওয়া-আসার জন্য তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকায় বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনস্থলে নিñিছদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গোপালগঞ্জে জাতির পিতার সমাধিতে সব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা থাকবে। সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সারাদেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে। কেউ যাতে কোনো রকমের নাশকতা না করতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটাও আলোচনা হয়েছে যে, যতগুলো নাশকতা হয়েছে এ ১৫ আগস্টের পরে। ২১ আগস্ট নিশ্চয়ই ভুলে যাননি বা ১৭ আগস্টের কথাও নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। সেটা মাথায় রেখে যাতে এ ধরনের নাশকতা না হয় আমাদের গোয়েন্দারা সেদিকে নজর রাখবে। কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাতে গুজব ছড়াতে না পারে, এজন্য আমরা লক্ষ্য রাখবো। এ ব্যাপারে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো, যাতে কোনো প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ না হয়।
১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে পাতাকা বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। যারা পতাকা ওড়াবেন তারা নিয়ম মেনে ওড়াবেন এবং যথাসময়েই নামাবেন। সব অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে আমরা অনুরোধ করেছি। সব অনুষ্ঠানস্থলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে। সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে। কারণ কোভিডের মহামারি এখনও শেষ হয়নি। সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব অনুষ্ঠান করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। সব অনুষ্ঠানস্থলে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ সরবরাহ করা হবে, যাতে কোনো রকম অসুবিধা সৃষ্টি না হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন