রাজধানীতে বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৩০ হাজারের বেশি সদস্যকে নিয়োজিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের নিয়মিত সদস্য, র্যাব, আনসার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা সদস্য। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীতে হেলিকপ্টারেও টহল দেবে র্যাব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
নয়াপল্টনে গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির একজন নিহত এবং উভয় পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এরপর থেকে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সারাদেশ থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে কয়েক হাজার পুলিশ সদস্যকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এর আগে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে যে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছিলাম, একই নিরাপত্তার ব্যবস্থা গোলাপবাগ মাঠেও প্রয়োগ করবো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেসব শর্ত বিএনপিকে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোই থাকবে।’
র্যাব ১০-এর অধিনায়ক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘মাঠকেন্দ্রিক বিভিন্ন ঝুঁকি বিবেচনা করে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার জন্য কাজ করছি। মাঠের আশেপাশে বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাসা-বাড়ি রয়েছে এবং অনেক ভবন রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অলিগলি রয়েছে। মাঠের বেশ কিছু অংশে ইটের খোয়া রয়েছে, যা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও বিএনপির সমাবেশে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়, সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা করেছি।’
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে মাঠে থাকবে আনসার বাহিনীর চার হাজার সদস্য। আনসারের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় চার হাজার আনসার সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে। এর আগে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করতেন আনসার সদস্যরা। এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বড় একটি সংখ্যা যুক্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন