শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মুক্তাঙ্গন

হাওর বাঁচাও দেশ বাঁচাও

| প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আবুল কাশেম আবাদী :নদ-নদী, হাওড়-বাওড়, খাল-বিলের দেশ বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় নদী সুরমা, কুশিয়ারা, ধনু, কালসী, ঘোড়াউৎরা এবং মেঘনা বিধৌত কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল হাওড় এলাকা হিসেবে পরিচিত। ছয়টি জেলার মোট ৪৪টি উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত নি¤œাঞ্চল তথা বৃহত্তম হাওড় এলাকায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ বসবাস করছে। এ হাওড় অঞ্চলে বসবাসকারী ৯০ শতাংশ মানুষই কৃষিজীবী এবং তাদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীই দরিদ্র ও ঋণগ্রস্ত। যার মধ্যে বেশিরভাগ কৃষকই আবার স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন। কৃষি ও মৎস্য ধরা হলো তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান অবলম্বন।
অথচ, এক সময় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও হাওড় অঞ্চল ছিল দেশের অন্যতম কাজ সমৃদ্ধ জনপদ কিন্তু অকাল বন্যা, খরা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতিবৃষ্টিসহ বহুবিদ সমস্যা সংকুল হাওড় অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠী আজ সবচেয়ে অবহেলিত হয়ে দুর্বিষহ জীবন করছে। দেশে সার্বিক সমস্যা আর হাওড় এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা এক নয়, হাওড় অঞ্চলের শিক্ষা, চিকিৎসায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনগ্রসর। প্রায় ৬০ বছর পূর্বে এই হাওড় অঞ্চলের কৃষকরা পাটচাষ করত, বাদাম, মিষ্টি আলু, কাউন, মাসকলাই সরিষাসহ অন্যান্য রবিশস্য উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মিটাত। কিন্তু আজকে সেখানে বসবাসরত মানুষদের জীবনে নিত্যসঙ্গী হয়েছে দারিদ্র্য, স্বাস্থ্যহীনতা ও খাদ্যাভাব। অভাব-অনটনই এ এলাকার বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা পীড়িত জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। আর হাওড় এলকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে এখানকার মানুষের ভাগ্য বদলাতে হলে সবার আগে প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং তা সমাধানের উপায় বের করা। বিশেষ করে এক ফসলি এলাকা হাওড় অঞ্চলের জন্য পৃথক বাজেট ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
ষ লেখক : প্রাবন্ধিক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন