শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

তিস্তার ভাঙনে গৃহহীন শতাধিক পরিবার

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৬ এএম

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাত্রখাতা এবং সীমান্ত লাগোয়া গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কারেন্ট বাজার এলাকায় তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে গত এক সপ্তাহে শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনে কয়েকশ’ একর আবাদি জমি, বিপুল সংখ্যক গাছপালা ভেঙে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সরজমিনে দেখা যায়, তীব্র ভাঙনে গৃহহীন পরিবারগুলো আশ্রয় না পেয়ে বর্তমানে খোলা আকাশে অবস্থান করছে। অনেকেই জানেন না তারা কোথায় আশ্রয় নিবেন। ভাঙন কবলিতদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ। তবে ভাঙন ঠেকাতে পাউবো’র পদক্ষেপ থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এখনো বরাদ্দকৃত জিওব্যাগ নদীতে ফেলানো হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন ঠেকাতে ভাঙনকবলিত এলাকায় কয়েক হাজার জিওব্যাগ নদীতে ফেলানোর কার্যক্রম প্রক্রিযাধীন।

চিলমারীর পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ্ দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল আজিজ আকন্দ জানান, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় কেউ আমলে নেয়নি। ফলে অনেক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এখন হুমকির মুখে রয়েছে মন্ডলেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারিপাড়া মন্ডলেরহাট নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ্ দাখিল মাদরাসা। নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিলিন হয়ে যাবে।

নদী ভাঙনের শিকার বাহার উদ্দিন (৫০) জানান, ‘শত শত বস্তাত বালু ভরি রাখছে কিন্তু ঠিকাদার বস্তা ফেলায় না। আমাগো শ্যাষ সম্বলটুকু নদী খায়া গেলো। অহন আমরা কই যাই।’

এলাকার সুবলচন্দ্র, নয়া মিয়া ও আব্দুল গনি জানান, ‘সময়মতো জিওব্যাগ ফেলানো হলে, এতটা ভাঙত না। আর আমাদের বাড়িঘরও সড়ানো লাগত না।’

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভাঙনরোধে ওই এলাকায় ৭০ হাজার জিওব্যাগ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গণনা শেষ হলে খুব দ্রুত জিওব্যাগ নদীতে ফেলানোর কাজ শুরু হবে বলে আশ্বস্থ করেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন