শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সোনারাঙ্গা ধান কাটা উৎসবে কৃষক

| প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. মানজুরুল হক, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) থেকে :মৌলভীবাজারে সোনারাঙ্গা ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠেছেন কৃষকরা। শীতের সকাল থেকে শুরু করে পড়ন্ত বিকাল পর্যন্ত মাঠে-মাঠে ধান কাটা, মাড়াই, বাছাই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সব কৃষক পরিবার। ধানের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। সরেজমিনে বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জমিতে জমিতে দোল খাচ্ছে সোনারাঙ্গা পাকা ধান। কোনো কোনো জমিতে আবার আধাপাকা ধান। প্রকৃতির অপরূপ এ সৌন্দর্যে কৃষকের বুকে যেন অপার আনন্দ। ধান কাটা নিয়ে চারদিকে উৎসবের আমেজ। সেই উৎসবের ঢেউ লেগেছে বড়লেখা উপজেলার কৃষক পরিবারে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখায় চলতি মৌসুমে ৭৮০২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭৯০০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করেন। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ধানে ৩২,৬২৫ মেট্রিক টন ও চালে ২১, ৭৫০ মেট্রিক টন। তবে ভালো ফলন ও লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে চাষাবাদ হওয়ায় ধানে ও চালের উৎপাদন টার্গেট ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন। সদর ইউনিয়নের আদিত্যের মহাল এলাকার কৃষক রিয়াজ উদ্দিন জানান, এবার ১২ কিয়ার জমিনে ক্ষেত করছি। খরচ অইছে ২৫ হাজার টাকার মতন। জমিনে ধান ভালা অইছে। দশ-এগারো কাটা ধান পাইমু আশা করিয়ার। তিনশত টাকা করিয়া পুরা বেচতে পারলে খরছের টাকা উঠিয়া ভালা লাভ অইবো। রাঙ্গাউটি এলাকার কৃষক ইকবাল হোসেন স্বপন জানান, আমন উৎপাদনে খরচ অনেক কম হয়। কারণ বোরো চাষের মতো বেশি সেচ ও সার দিতে হয় না। পর্যাপ্ত বৃষ্টি আর পরিচর্চা করলেই আমন ফসল ভালো পাওয়া যায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন বলেন, কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, উন্নতমানের বীজ, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, বিভিন্ন প্রদর্শনী স্থাপন ও পার্সিং পদ্ধতির ফলে ফলন ভালো হয়েছে। গতবারের মতো এবারও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন