শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

শ্রীনগরে এবার গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৫ কোটি টাকার জায়গা বালুভরাট করে দখল করছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২২, ৪:১০ পিএম

শ্রীনগরে এবার গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের প্রায় ১৫ কোটি টাকা মূল্যের জলাশয় দখল করে বালু দিয়ে ভড়াট করছে পাটাভোগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগর সভাপতি রমিজউদ্দিন। শ্রীনগর-দোহার সড়কের মিল্কভিটা অফিসের উল্টো পাশে বেশ কয়েকদিন ধরে বিনা বাধায় এই ভড়াট কার্যক্রম চলছে বেশ জোড়েশোরে। এর আগে মিল্ক ভিটার পূর্ব পাশে একই মন্ত্রনালয়ের আরেকটি জলাশয় ভড়াট করে শ্রীনগরের চিহ্নিত ভূমি দূস্যু সিন্ডিকেটের মূল হোতা দেলোয়ার হোসেন ওরফে হোটেল দেলোয়ার। পরবর্তীতে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে মুন্সীগঞ্জ গনপূর্ত বিভাগের লোকজন এসে দেলোয়ারের ভাড়াটকৃত জলাশয় নিজেদের দখলে নেয়। অবশ্য দেলোয়ার গংদের দাবী ছিল তারা জায়গাটি মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে লিজ নিয়েছেন। কিন্তু গনপূর্তের জায়গা জেলা পরিষদ কিভাবে লিজ দিল এই প্রশ্নে গনপূর্ত বিভাগ নড়েচড়ে বসে।

রবিবার দুপুরে মিল্কভিটা অফিস সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কুশরিপাড়া মৌজার আরএস ২ নং খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গনপূর্ত নগর উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের নামে ৪১ দাগে রেকর্ডকৃত ১ একর ১০ শতাংশ পরিমাপের জলাশয়টি ভড়াট চলছে।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, রমিজউদ্দিন পটাভোগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই এই জায়গার উপর তার নজর পরে। এর প্রেক্ষিতে তিনি তার জামাতা সোহেলকে দিয়ে প্রথমে এখানে ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু ফেলে ড্রেজারের মাধ্যমে অন্যের জমি ভড়াটের ব্যবসা চালু করেন। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে এখানে বালু ফেলে রোলার দিয়ে তা ঠিক করার সময় স্থানীয়দের চোখে ধরা পরে রমিজউদ্দিন জায়গাটি দখল শুরু করেছেন।
রবিবার দেখা যায়, জলাশয়টি দোহার-শ্রীনগর রাস্তার সমান উচুকরে ভড়াট করা হয়েছে। বালু সংরক্ষনের জন্য পোতা হয়েছে বাশের খুটি। স্থায়ীত্ব বাড়ানোর জন্য মুলি বাশের বেড়া দেওয়া হচ্ছে।
গনপূর্তের জায়গা দখল করে বালু ভরাট বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রমিজ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জায়গাটি গনপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের এটা সত্য। বালু যা ফেলেছি তা অন্যত্র সরিয়ে নিব। তবে বাশ ও বেড় দিয়ে আটকেছেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দেন নি।
এই বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলা গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হাসান হিরাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন