সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ডিপোতে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার ওয়াগন

ইয়ার্ড অফিসে দীর্ঘদিন ঝুলছে তালা

| প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে : সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের মালামাল লোড আনলোডের সুন্দর ব্যবস্থা থাকার পরও ব্যবসায়ীরা রেলে মালামাল পরিবহন না করায়, পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহত্তম রেলওয়ে জংশন সান্তাহার স্টেশন ট্রানসিপমেন্ট ইয়ার্ড মাস্টারের অফিসে দিনের পর দিন ঝুলছে তালা। ইয়ার্ড ডিপোতে ফেলে রাখা হয়েছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের প্রায় শতাধিক মালবাহী বিসি এবং ২৫টি বিএফজি বা হপার ওয়াগন। মেটালিসটিক রাবারইউনিট নামক একটি অতিপ্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাব এবং ব্যবহার না থাকার অজুহাত দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে এসব ওয়াগন ফেলে রাখা হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে চলাচল উপযোগী কোটি কোটি টাকা মূল্যের এসব ওয়াগন। স্থানীয় রেল সূত্র জানান, বিসি ওয়াগনগুলো পুরাপুরি সচল রাখতে প্রতিটি ওয়াগনে ১৬টি করে মেটালিসটিক রাবার ইউনিট প্রয়োজন হয়, এসব আমদানি করা হতো ভারত ও ইংল্যান্ড থেকে বর্তমানে এসব যন্ত্রাংশ সাপ্লাই নেই, এ কারণে দীর্ঘসময় ধরে ডিপোতে পরে থাকায় নষ্ট হচ্ছে এসব চলাচল উপুযোগী ওয়াগন। ইতোমধ্যে ৪০টি বিভিন্ন ধরনের ওয়াগনের আরসি তালিকা করা হয়েছে। ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষ তালিকাভুক্ত ৪০টি ওয়াগন যে কোনো সময় এ কন্ডেম ঘোষণা করতে পারে। এছাড়া সান্তাহার ডিপোতে সি টাইপ ৫২টি ওয়াগন পিওএইচ (পিওরিটিক্যাল টাইম ওভার) তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের মালামাল লোড আনলোডের সুন্দর ব্যবস্থা থাকার পরও স্থানীয় রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লোকোমুটিব ইঞ্জিনের অজুহাতে উৎকোচের পরিমাণ বেশি হাঁকায় এবং সময়মত খালাস পয়েন্টে ওয়াগন প্লেসিং না করার কারণে ব্যবসায়ীদের পড়তে হয় লোকসানের মুখে। একমাত্র সরকারি মালামাল পরিবহন ছাড়া এসব কারণে বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাটসহ বেশ কয়েকটি জেলার বড় বড় ব্যবসায়ীরা রেলপথে মালামাল পরিবহন না করে সড়কপথে বিভিন্ন যানবাহনে মালামাল পরিবহন করার ফলে রেলওয়ে ওয়াগনের চাহিদা দিন দিন কমে যাওয়ায় লোড-আনলোড পয়েন্টেরগুলো বন্ধ হয়ে পড়ায় শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পশ্চিমাঞ্চলের কতিপয় রেল কর্মকর্তা কোটি কোটি টাকার শত শত সচল ওয়াগন অচল ঘোষণা করে অল্প টাকায় নিলামে বিক্রি করে এখাতের কোটি কোটি লোপাট করছে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে। ইয়ার্ড মাস্টারের অফিস বন্ধ ব্যাপারে স্থানীয় স্টেশন মাস্টার রেজাউল করমি ডালিমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আগের মতো ওয়াগনের চাহিদা নেই, কাজকর্ম নেই, লোকজন নেই, ইয়ার্ডে বিদ্যুৎ এর পাওয়ার প্লানের তৈলবাহী ট্রেন আসলে স্টেশন থেকে লোকজন গিয়ে কাজ করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন