যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গায় কচুরিপানার ভেতর থেকে নাঈমা খাতুন (৮) নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত আনুমানিক ১১ টার সময় উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে ধলিয়ার বিলে মোসলেম উদ্দিনের পরিত্যাক্ত ডোবার কচুরিপানার ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরুল ইসলাম বিশ্বাসের মেয়ে নিহত নাঈমা খাতুন বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী আমজাদ নাঈমাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে গুম করার উদ্দেশ্যে পরিত্যাক্ত ডোবার কচুরিপানার ভেতরে লাশ লুকিয়ে রাখে। পুলিশ বলছে, মৃত্যুর কারণ পরিস্কার নয়, ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। মৎস্য ঘের কর্মচারী আমজাদ (৪০)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
নিহত নাঈমার মা মর্জিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রতিবেশী মৎস্য ঘের কর্মচারী আমজাদকে বন্ধু বলে ডাকত। রবিবার বিকালে মেয়ে বন্ধু আমজাদের মৎস্য ঘেরে খেলা করতে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যায়। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে না আসলে আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। এক পর্যায়ে আমজাদের কাছে নাঈমার খবর জানতে চাইলে সে বলে আমি কিছু যানি না। খুজে দেখেন কোথায় আছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত আনুমানিক ১১ টার সময় আমজাদের মৎস্য ঘেরের পাশে মোসলেম উদ্দিনের ডোবার কচুরিপানার ভেতরে নাঈমার একটি হাত দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, ‘গত রোববার রাতে প্রেমবাগ ইউনিয়নের ধলিয়ার বিলে কচুরিপানার ভেতর থেকে নাঈমা খাতুন নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যুর কারণ পরিস্কার না হওয়ায় গতকাল সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন