সাত বছর আগে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং নাশকতামূলক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য মো. আফজাল হোসেন। সেসময় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালালে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এরপর তিনি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করে ছিলেন। ৭ বছর ধরে পলাতক ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী মো. আফজাল হোসেন ওরফে লিমনমে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
বুধবার রাতে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এটিইউ'র পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় দায়ের দায়ের হওয়া সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলার অভিযোগ পত্র আদালতে দেয়া হয়। এটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আফজাল হোসেন ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন বুজরুক বোয়ালিয়া শিল্পপাড়া এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি'র কতিপয় সক্রিয় সদস্যদেরকে নিয়ে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং নাশকতামূলক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছিলেন। ওই সময় গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালায়।
আসলাম খান বলেন, অভিযান চলাকালে আফজাল হোসেন কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এরপর তিনি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করে ছিলেন। জঙ্গিবাদের বিস্তার এবং অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন আসলাম হোসেন।
আফজাল ২০১৪ সাল থেকে গাইবান্ধা জেলার জেএমবি’র দাওয়াহ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি জেএমবি’র রংপুর বিভাগের সামরিক শাখা প্রধান জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব গান্ধী এবং দাওয়াহ শাখার প্রধান সাদ ওরফে রতনের একান্ত
সহযোগী ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি চট্টগ্রামে হিযরত করে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন।
এটিইউ আসলামের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছিলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন