টোকিও অলিম্পিক গেমস, নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস ও বিশ্ব অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা লন্ডন প্রবাসী সাঁতারু জুনাইনা আহমেদ সাঁতারকে ‘না বলছেন! দেশের হয়ে আর কখনই পুলে নামবেন না তিনি। তবে জানা গেছে, তার ছোট বোন জুমাইমা আহমেদ আসছেন সাঁতারে। দেশের হয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তিনি।
লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশী বংশদ্ভুত সাতারু জুনাইনা ২০১৯ এসএ গেমসে চারটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছিলেন। কিন্তু নিজের স্বর্ণস্বপ্ন পূরন করতে পারেননি। তাই লন্ডন ফিরে এসে মনযোগি হন লেখা-পড়ায়। এখন তার স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া।
চিকিৎসা বিদ্যার প্রথম বর্ষ শেষ। আগামী মাসে শুরু হবে নতুন বর্ষ। যে কারণে পড়াশুনার ভীষন চাপ। আর এ জন্যই আন্তর্জাতিক সাঁতারকে বিদায় জানালেন জুনাইনা। তবে জাতীয় পর্যায়ে আরো কয়েকবছর খেলার ইচ্ছা আছে তার।
শুক্রবার জুনাইনার বাবা যোবায়ের আহমেদ যুবের ইনকিলাবকে বলেন,‘আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। নিজে ফুটবল খেলতাম। আশা ছিল লাল-সবুজ জার্সি গায়ে বিদেশের মাটিতে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবো। সেই স্বপ্ন পুরণ হয়নি। তবে আমার মেয়েদের মধ্যে স্বপ্নের বীজ বুনে দিয়েছি। বড় মেয়ে জুনাইনার পর সাঁতরে আসছে জুমাইমা। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে। আমরা দেশকে দিতে চাই। কিন্তু আমাদের পাশে দেশের বিত্তবানদেরও দাঁড়াতে হবে। ভাালো মানের কোচ পেলে জুমাইমা আন্তর্জাতিক সাঁতারে সাফল্য পেয়ে দেশর মান বাড়াতে পারবে বলে আমার বিশ^াস।’
যুবেরের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। জুনাইনা সবার বড় এবং জুমাইমা মেজ। বড় দুই বোনের মতো ছোট মেয়েও সাঁতারে প্রচন্ড আগ্রহী। অবশ্য একমাত্র ছেলের ইচ্ছা ফুটবলার হওয়া। নিজের উপার্জনের একটা অংশ ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলার পেছনে ব্যয় করেন যুবের। তিন মেয়ের জন্যই আলাদা কোচ রেখেছেন। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে লন্ডনে তার আয় কমে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে যুবেরকে। ভালো মানের কোচ দিতে পারছেন না মেয়েদেরকে। অথচ লাল-সবুজ জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক সাঁতারে অংশ নিতে স্বপ্নের বীজ বুনছেন ১৩ বছর বয়সী জুমাইমা। লন্ডনে সপ্তাহে চারদিন অনুশীলন করছেন তিনি। শিখছেন নানা কলাকৌশল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন