কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পান্না আক্তার (১৯) নামের এক নববধূর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার দুপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের শিমুহা নেহারদিয়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যৌতুক না পেয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পান্নাকে হত্যা করে লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ২৬ জুন পারিবারিকভাবে কটিয়াদী উপজেলার শিমুহা নেহারদিয়া গ্রামের আব্দুল হেকিম চৌকিদারে ছেলে মারফত আলীর সঙ্গে পাশ্ববর্তী নিকলী উপজেলার জারুইতলা ইউনিয়নের ধারীশর গ্রামের আবু বাক্কারের মেয়ে পান্না আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পান্নাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন মারফত আলী।
গত শুক্রবার দুপুরের দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পান্না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। ঘটনার পর মারফত আলী পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। হাতের মেহেদির রঙ না শুকাতেই নববধূ পান্নার নিহতের খবরে উভয় এলাকার মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের বাবা আবু বাক্কার জানান, বিয়ের সময় মারফত আলীকে যৌতুক হিসাবে ১ লাখ ৭০ হাজার পরিশোধ করেছেন। সম্প্রতি আরও ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মেয়ের ওপর নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমরা এ বিষয়ে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মারফত আলীর মোবাইল ফোনে কল দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন