১৪ দলের অন্যতম নেতা ও ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি বলেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকেন তো, তাই কিছু অপ্রয়োজনীয় কথা বলে ফেলেন। এতে সরকারকে বিব্রত হতে হয়। বেহেস্তে আছি- এমন কথা বলা জনগণকে উপহাস করার শামিল। জনমনে আঘাত আসে- এমন কথা বলা অনুচিত। বিদ্যুৎ দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশে মানুষকে ছোট করে না। তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিংয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বলা হয়েছে দিনে এক ঘণ্টা লোডশেডিং হবে। কিন্তু সেটি শহরের জন্য কার্যকর হলেও গ্রামের চিত্র ভিন্ন। গ্রামের ৭/৮ ঘণ্টা, অনেক সময় ১০/১২ ঘণ্টায়ও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। এমনকি আমি বলার পরও গত শুক্রবার জুমার সময় বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা যায়নি। শহর এবং গ্রামে বিদ্যুৎ বিভাজনে সমন্বয় করতে হবে। বিশেষ করে- মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল ‘হাসপাতালে’ বিকল্পভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কারন ওয়ার্ড মেম্বার থেকে শুরু এমপি পর্যন্ত সব জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জোটের অনেকের ভাষা সরকারকেও বিব্রত করছে। জনগণকে সংকটের ব্যাপারে বুঝিয়ে বলা উচিত বলে আমি মনে করি। তিনি গতকাল শনিবার ফটিকছড়ি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাবিল চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাব্বির রহমান সানি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা, ফটিকছড়ি মেয়র মো. ইসমাইল হোসেন, নাজিরহাট মেয়র এসএম সিরাজ-উদ-দৌলাহ, ডা. উপল চৌধুরী, ফটিকছড়ির ওসি মাসুদ ইবনে আনোয়ার, ইউপি চেয়ারম্যান সোয়েব আল ছালেহীন, ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কুরাইশী, নাজিরহাট পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন