কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ফখরুল ইসলাম রাজুর বিরুদ্ধে এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া এবং আরেক যুবলীগে নেতাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরো ৩জন যুবলীগ নেতাকর্মি আহত হয়েছে।
হামলার শিকার যুবলীগ নেতার নাম নিজাম উদ্দিন ঝন্টু (৪৫) উপজেলা যুবলীগের যুবলীগের সহ সভাপতি। অপর যুবলীগ নেতার নাম হাসান আলী রাজু (৪০) চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তারাও কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সোমবার দুপুরে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের পুঁটিয়ালি পোল ও কলেজ গেইট এলাকায় এসব এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ জেড এম মহিউদ্দিন সোহাগের সাথে কিছু দিন ধরে বিরোধ চলছে কাদের মির্জার অনুসারী একই ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা রোমন ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিজান, শিপন ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রাজুর সঙ্গে। এ বিরোধে উপজেলা যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন জন্টু হাজারী ও হাসান আলী রাজু ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগের পক্ষে অবস্থান নেয়।
হামলার শিকার চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী রাজু অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে চরহাজারী ইউনিয়ন থেকে কাদের মির্জার অনুসারী দুটি গ্রুপ পৃথক পৃথক ভাবে শোক র্যালির মিছিল নিয়ে বসুরহাট পৌরসভা প্রাঙ্গণে যায়। র্যালি নিয়ে যাওয়ার পথে পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের পুঁটিয়ালি পোল এলাকায় পৌঁছলে যুবলীগ নেতা রোমন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিজান,শিপন ও ছাত্রলীগ নেতা রাজুর নেতৃত্বে ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগের অনুসারী নেতাকর্মিদের ওপর হামলা চালানো হয়। তখন আমি নেতাকর্মিদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ছাত্রলীগ নেতা রাজুর নেতৃত্বে আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে শোকসভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বসুরহাট পৌরসভার কলেজ গেইট এলাকায় যুবলীগ নেতা জন্টু হাজারীকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চরহাজারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রাজু অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,আমি অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি আছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো.সাদেকুর রহমান বলেন,আমরা শুনেছি মারামারি হয়েছে। কে কার মাথা ফাটিয়েছে সে বিষয়ে জানিনা। এ বিষয়ে কেউ থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
মন্তব্য করুন