বগুড়ায় একটি গোডাউনে অবৈধভাবে মজুদকৃত কোটি টাকা মূল্যের জব্দকৃত সার প্রশ্নবিদ্ধ নিলামের মাধ্যমে কিনে নিলেন আওয়ামী লীগ ও চেম্বার নেতা মাহফুজুল ইসলাম রাজ। গতকাল মঙ্গলবার বগুড়া সদর উপজেলার অডিটোরিয়ামে এই নিলাম ডাকে ৫০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে অংশ নেন ১০৮ জন বিডার। তবে নিলামে অংশ নেন মাত্র ৪/৫ জন বিডার। ডাকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা দর ডাক দিয়ে বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার নেতা মাহফুজুল ইসলাম রাজ।
নিলাম কমিটির প্রধাণ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাহফুজুল ইসলাম রাজকে ইউরিয়া ১০০০, টিএসপি ১০০০, ডিএপি ৭০০, এমওপি ৬৫০ টাকা দরে কিনে নিতে হবে। জব্দ করা গোডাউনে কত বস্তা ও কী সার আছে জানতে চাইলে কৃষি অফিসার বলেন, গননা করা হয়নি। আপাতত গোডাউন ম্যানেজারের হিসেবে ধরা ১২০০ বস্তা ডিএপি এবং ১০০ বস্তা ইউরিয়া সারের দাম মাহফুজুল ইসলাম রাজ সরকারি কোষাগারে জমা দেবেন।
এদিকে, এই নিলামে ১০৮ জন বিডার জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে বিড মানি জমা দিয়ে নিলামে নিবন্ধিত হয়ে মাত্র ৪/৫ জন কেন অংশ নিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে ৮ দিন আগে সিলগালা করা গোডাউনে মজুদ সারের বস্তা গণনা না করে কিভাবে আন্দাজের ওপর নিলাম করা হলো ?
এদিকে, এই সারের মূল মালিক ও বিসিআইসির শিবগঞ্জ উপজেলার নিবন্ধিত সার ডিলার কনক পারভেজ তার গোডাউনে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অভিযান, গোডাউন সিলগালা করে তনিলাম করার বিরুদ্ধে আদালতে রিট করে গতকাল বিকেলে নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। আদালতের ওই আদেশ কৃষি অফিসারকে ফ্যাক্সযোগে পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একজন ফোনে আইনজীবী পরিচয়ে আদালতের আদেশের কথা জানিয়েছেন।
এদিকে এই টেন্ডার প্রক্রিয়াকে বেআইনী মন্তব্য করে বগুড়া সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজিবুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, বগুড়া সদরের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকেও পৃথক একটি রিটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন