রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় গুমাইবিলের কৃষকরা নিরুপায়। বর্ষাকাল শেষে শরৎ শুরু হয়েছে এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে এখনো আমন চারা রোপন করা সম্ভব হয়নি। কৃষকরা বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে নদী, খাল-বিল, পুকুর থেকে পানি তুলে আমন ধানের চারা অনেক কষ্টে রোপন করে আসছে। সেচ দিয়ে যেসব চারা রোপন করেছে এখন সেসব জমিতে পানি সেচ দিয়ে চারা বাঁচিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষকরা। গত বছর যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত এর এক-চতুর্থাংশও হয়নি। এই কারণে সেচ দিয়ে আমন চাষ করতে অধিক পরিমাণ খরচ পড়তে হয়েছে কৃষকদের। পানির অভাবে আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিতায় রয়েছে কৃষক। রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অবস্থিত দেশের ২য় বৃহত্তম ফসল আবাদের গুমাইবিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, আমন চারা রোপনের সময় ফুরিয়ে এলেও পানির অভাবে চারা হলুদ হয়ে মারা যাচ্ছে। শত শত হেক্টর জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে আছে। কয়েকটি স্থানে বীজতলা চারা বয়স বাড়ছে কিন্তু বৃষ্টির অভাবে জমি চাষ করতে পারছে না। যে সকল কৃষকরা সেচ দিয়ে জমিতে চারা রোপন করে ছিলেন সেচ দিয়ে চারা বাঁচিয়ে রাখতে হচ্ছে। এই কারণে বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে কৃষকদের।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় দেশের ২য় বৃহত্তম শষ্যভান্ডার গুমাইবিলের এবারে লক্ষ্যমাত্র ৩৪৩৫ হেক্টর, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নসহ মোট ১৫৪৩০ হেক্টর, এবছরে জমিতে রোপা আমনের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যান্ত ১৩২৩০ হেক্টর জমিতে চারা রোপন করা সম্ভব হয়েছে। বীজতলা জন্য কৃষক বীজধান ক্রয় করেছে তবে পানির অভাবে জমি আবাদ করতে পারেনি।
চন্দ্রঘোনার কৃষক হাজী পাড়ার সৈয়দ আহমদ বলেন, বীজতলার জন্য কৃষক বীজধান ক্রয় করছে তবে পানির অভাবে সটিক সময়ে জমি আবাদ করতে পারেনি। মরিয়ম নগরের সোলেমান নামে কৃষক বলেন, বৃষ্টির অভাবে বীজতলা করতে পারেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন