ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে ডিজেল, পেট্রোলসহ চোরাই তেলের প্রায় চল্লিশটি দোকান রয়েছে। দোকানগুলো দিনরাত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যবাহী ট্রাক, অফিশিয়াল পিকআপ, কভারভ্যানের অসাধু চালকরা সুযোগ বুঝে এসকল দোকানের সামনের গাড়ি থামিয়ে টাংকি থেকে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন নামিয়ে বিক্রি করতে দেখা য়ায়। একদিকে তেলের দাম বৃদ্ধি, অন্যদিকে ড্রাইভার করছে তেল চুরি। এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ। প্রতি লিটার ডিজেল ৯০ টাকা পেট্রোল ও অকটেনের ১০০ টাকা দরে কিনে বলে জানায় চোরা তেলের দোকানিরা। জ্বালানি তেল ক্রয় বিক্রয়ের বৈধ লাইসেন্স নেই তাদের। বিগত সময়ে সরকার যখন গাড়ি ও বৈধ লাইসেন্সধারী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো কাছে, আলাদা পাত্রে ডিজেল ও পেট্রোলসহ সকল জ্বালানি তেল বিক্রি পাম্পগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই সময় আন্দোলনকারীরা চোরাই তেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় বলে জানান এলাকাবাসী।
মহাসড়কে কারারচর নামক স্থানে এক চোরাই জ্বালালি তেল কারবারি আল-আমিনকে এই বিষয়ে বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বলে আমরা যা করছি তা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আমাদের বিস্ফোরক কোনো লাইসেন্স নেই।
এই বিষয়ে ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ওসি হায়দার বলেন- কিছুদিন আগেও এদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে এবং এদেরকে মহাসড়ক থেকে উচ্ছেদ করার জন্য আমাদের অভিযান চলমান আছে।
এ প্রসঙ্গে শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান বলেনÑ শিবপুর উপজেলা আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যে সকল অবৈধ জ্বালানি তেলের চোরাই দোকানগুলো রয়েছে সেগুলোকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে নিয়ে উচ্ছেদ করা হবে। এখনই চোরাই তেল ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন