রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পানিবদ্ধতায় কয়েক গ্রামের কৃষি জমি থাকছে অনাবাদি

| প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কামরুজ্জামান টুটুল, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) থেকে : বাড়ির রাস্তা করে পানি চলাচল বন্ধ করে দেবার কারণে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ৫নং সদর ইউনিয়নের সুবিদপুরসহ তৎসংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে কৃষি জমিতে পানি আটকে রয়েছে। আর এ কারণে ঐ সকল এলাকার কৃষি জমিতে বীজতলাসহ কৃষি জমি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। গত প্রায় এক যুগ ধরে এই ভুগে আসছে ঐ অঞ্চলের কৃষকসহ কয়েক হাজার পরিবার। এ বিষয়ে গত বছর দৈনিক ইনকিলাবে একটি সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নির্দেশে একটি তদন্ত হলেও খালটি দখলমুক্ত হবার কোন সম্ভবনা প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে না। সুবিদপুর এলাকায় গেলে সরেজমিনে আরো দেখা যায়, বলাখাল রেল স্টেশনের পূর্ব অংশের রেলের ৩২নং ব্রিজটি নিচ দিয়ে পুরো সুবিদপুর গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের প্রায় ৫০ একর কৃষি জমির পানি নামার একমাত্র খাল। এই খালটি রেলের ব্রিজে নিচে দক্ষিণ দিক দিয়ে বাঁকা সোজা হয়ে সিএন্ডবি সড়কের পাশের খালে মিশেছে। সেই পানি বলাখাল এলাকা ধরে ডাকাতিয়া নদীতে গিয়ে নামে। আর পানি নামার এই খালটি গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। যার মূল কারণ হলো খাল পাড়ের মানুষগুলো নিজেদের বাড়ির রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে খালটি দখলে নিয়ে বন্ধ করে ফেলেছে। আর এ কারণে ঐ সকল গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার জমির পানি এখনো আটকে রয়েছে। স্থানীয় চৌধুরী গাজী বাড়ির কৃষক আঃ রব জানান, অগ্রহায়ণের এই মাঝামাঝি সময়ে এখনো আমাদের ফসলি জমিতে আড়াই ফুটের মতো পানি জমে আছে। আর এ পানি স্বাভাবিকভাবে না শুকানো ছাড়া কিছু করা যাবে না। কারণ পানি নামার পথ বন্ধ। গত কয়েক বছর ধরে আমরা এ সমস্যায় ভুগে আসছি। এ কারণে আমরা কৃষি কাজসহ সকল ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এক কথায় আটকে থাকা এই পানির কারণে আমরা শীতের ফসল ঘরে তুলতে পারছি না। ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান এ বিষয়ে আমরা বহু দৌড়াদৌড়ি করেছি লাভ নেই। যারা খালের জমি দখল করে রেখেছে তাদের দৌড় অনেক উপরে। তাই আমাদের পুরো এলাকার পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে আর কেউ নজরেই আনছে না। আবার মজার ব্যাপার হলো দখলকারীদের একজন আবার কৃষি অফিসে চাকরি করে পানি চলাচল পথ তিনি নিজেই বন্ধ করে রেখেছেন। সুবিদপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বলাখাল মকবুল আহম্মদ ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান, গত বছর এ বিষয়ে ইনকিলাবে একটি সংবাদ প্রকাশের পর তহসিলদার লতিফ গাজীকে দিয়ে একটি তদন্ত করেছে কিন্তু ফলাফল বলতে কিছুই পাইনি। এ বিষয়ে জানতে লতিফ গাজী (বর্তমানে ফরিদগঞ্জে কর্মরত) সাথে মুঠোফোনে জানান, তখনকার সময়ের ইউএনও স্যারের নির্দেশে সুবিদপুরের ঐ অংশে অবৈধ দখলকারীদের নাম ঠিকানাসহ জনস্বার্থে ঐ সকল বাড়ির সড়ক উচ্ছেদ পূর্বক পানি চলাচলা স্বাভাবিক করার জন্য প্রতিবেদন দিয়েছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু সাদেক মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই, আমি জেনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন