সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা স্বল্প আয়ের মানুষ

সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকায় এবং শুকনা মরিচ ৪০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩০ টাকা। বাজারে চালের প্রকারভেদে বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আটা-ময়দা ও ভোজ্যতেল, শুকনা মরিচ, আদা-রসুন, চিনির দামও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে সব প্রকার পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব বাজারে পড়েছে। মাগুরা জেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা ও টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৫০ টাকা কেজি দরে ধুন্দল, পটল ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শসার দাম পড়ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কেজিপ্রতি বেগুনের দাম নেয়া হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। করলা ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। প্রতিটি চালকুমড়া ৫০ টাকা ও লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি ও বরবটি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, এবং কাঁচকলা ৩০ টাকায় হালি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪২ টাকা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি আদার দাম পড়ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা।
প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা আব প্যাকেট চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় মসুরের ডালের দাম লাগছে ১১০ টাকা। প্রতি কেজি খোলা আটা ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা এবং প্যাকেট আটা ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিটি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম বিক্রি করছে ১৫ টাকা।
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা ও লেয়ার মুরগি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। এছাড়া বাজারে ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস এবং ৯০০ টাকা কেজি দরে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি রুই মাছ ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৯০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৭৬০ টাকা এবং কৈ মাছ কেজিপ্রতি ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির একটি ইলিশের দাম পড়ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা।
এদিকে, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬৯ থেকে ৭০ টাকা, বিরি-২৮ চাল ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা ও নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জনৈক বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জানান, তার বেতন নেই, নেই পেনশন ৬ জনের সংসার আর চালাতে পারছেন না। সংসারে নেই কোন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এ ভাবে লাখ লাখ মানুষ কষ্টের মধ্যে রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন