মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ক্ষণিক লাভের আশায় অধিক ক্ষতির মুখোমুখি কৃষক

| প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

টি এম কামাল, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে : ইটের ভাটাগুলোতে আবাদি জমির উপরের অংশের মাটির ব্যাপক চাহিদা থাকায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ফসলি জমির উপরের অংশে মাটি কাটার হিড়িক চলছে। ফলে জমির উর্বরতা শক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। কাজিপুরে ৮-১০টি গ্রামে একশ্রেণির লোকের প্রলোভনে পড়ে জমির মালিকরা সামান্য টাকার বিনিময়ে তাদের আবাদি জমির উপরের অংশের মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। শীত মৌসুমে শুরু হওয়া এ মাটি কাটার উৎসব এখনো চলছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনুর রহমান জানান, আবাদি জমির উপরের অংশের মাটি কাটার ফলে মাটির প্রধান খাদ্য নাইট্রোজেন, পটাশ, সালফার, জিংক, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনসহ অর্গানিক উপাদানের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে জমি যে উর্বরতা হারাচ্ছে তা পূরণ হতে কমপক্ষে ৫ বছর সময় লাগবে। সীমান্ত বাজার ও পারুলকান্দি গ্রামে তিনটি ইটের ভাটা এলাকায় কয়েকটি গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমির উপরের অংশের মাটি কাটার হিড়িক চলছে। ওই তিনটি ইটভাটায় ইট তৈরির জন্য এ মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। বিশেষ করে, কৃষকের দরিদ্রতা ও অজ্ঞতাকে পুঁজি করে মাটি সংগ্রহকারী ও দালালরা অর্থের লোভ দেখিয়ে আবাদি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে। জানা যায়, প্রতিদিন ওইসব অঞ্চল থেকে শত শত ট্রাক্টর মাটি ইটভাটাগুলোতে যায়। এ ক্ষেত্রে আবাদি জমির মালিকরা প্রতি ট্রাক্টর মাটি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন। ওই টাকা থেকে দালাল পাচ্ছে প্রতি ট্রাক্টর বাবদ ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এ ছাড়া কোনো কোনো গ্রামের জমির মালিকরা এককালীন নগদ টাকা পেয়ে জমির প্রায় দুই আড়াই ফুট গভীরতার মাটি ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করছেন। অথচ জমির প্রধান উপাদান নষ্ট হয়ে মাটি বদলে যাওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টি জমির মালিক বা কৃষকরা বুঝতে পারছেন না। কৃষিবিদরা মনে করছেন, ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই উচিত জমির মালিক বা কৃষকদের এ বিষয়ে সচেতন করা তোলা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন