রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা :লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ঘিরে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকান ও স্থাপনা। হাসপাতালে ঢোকার মুখে সড়ক ও জনপথের সড়ক এবং নালা দখল করে সাত-আট বছর ধরে প্রায় ২০টি দোকান তুলে ভাড়া দিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এ কারণে হাসপাতালে ঢোকার মুখে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোগী ও স্বজনদের। দোকানের কারণে বিভিন্ন সমস্যা হওয়ায় ডিসি মহোদয়ের কাছে উচ্ছেদের দাবি জানান কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। জানা যায়, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আকবর হোসেন আরমানের ভাই আকরাম হোসেন, রুমান হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বদরুল আলম জিন্না, তার দুই ভাই জহির আলম মন্সী, হাসপাতালের কর্মচারী ফেরদৌস আলম মন্সীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি এসব দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছেন ও কিছু দোকান নিজে ব্যবসা গড়ে তুলছে। আগে একবার দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তার কয়েক মাস পরেই ফের দখল করে তারা। দোকান উচ্ছেদে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারবার আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। প্রথমে এক-দুটি দোকান করা হয়। এরপর আস্তে আস্তে দিন দিন দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের সামনে সড়ক ও জনপথের সড়ক এবং নালার ওপর কিছু সেমিপাকা, কিছু কাঁচা দোকান তোলা হয়েছে। হাসপাতালের সীমানা দেয়াল ঘেঁষে সড়কের দিকে দুই সারি পর্যন্ত দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের দুই পাশে সব মিলিয়ে ২০টির বেশি দোকান হবে। দোকানের পাশে আবার ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে নালা। দোকানের কারণে সড়কটি সরু হয়ে গেছে। হাসপাতালে ঢোকার মুখটিও সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। এলাকার প্রভাবশালী লোকজন এই বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, বিএনপি নেতা আরমানের ভাই আকরামের পরিচালতি জাহানারা ফার্মেসি কাছে হাসপাতালে আসা সকল রোগী ও ডাক্তারা জিম্মি হয়ে পড়ছে। হাসপাতালের ডাক্তাররা ও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা তাদের দোকানে না পাঠালে ডাক্তারদের লাঞ্ছিত ও রোগীদের হুমকি দেয় তারা। এতে ডাক্তারা ভয়ে ওই দোকানেই সকল রোগীদের ওষুধ কিনতে বাধ্য করেন। কয়েকজন দোকানের মালিকরা বলেন, ‘সরকারি জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে আমরা দোকান তুলে ভাড়া দিচ্ছি। এ জন্য কাউকে কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না। সড়ক ও জনপথের লোকজন এলে তাদের চা-পানি খাওয়াই। রায়পুর পৌর মেয়র ইসমাইল খোকন বলেন, ‘সড়ক ও জনপথের রাস্তা দখল করে এসব দোকান উঠেছে। দিন দিন দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। তারা কাউকে ভাড়াও দেয় না। আমি ডিসি মহোদয়কে লিখিতভাবে বিষয়টি জানাবো। এদের উচ্ছেদ করা জরুরি। লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রায়পুরের দায়িত্বে থাকা আবদুর রহিম বলেন, কোন প্রকার অনুমতি ছাড়ায় অবৈধভাবে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে এসব দোকানপাঠ তোলা হয়েছে। খুব দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে এসব জায়গা দখল মুক্ত করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন