জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ৯নং গোয়ালের চর ইউনিয়নের ইসলামপুর হতে বকশিগঞ্জ সভুকুড়া মোড় গত ২৭ জুন ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হলে ২৯ জুন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক পরিদর্শন করে ৮ হাজার বালু ভর্তি জিওব্যাগ ভাঙন স্থানে ডাম্পিং করে সাময়িকভাবে ভাঙন প্রতিরোধ হলেও চলছি আগস্টের ১ম সপ্তাহে মোহাম্মদপুর এলাকায় ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। জানা গেছে, উজান থকে নেমে আসা ভারি বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বেড়ে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে উপজেলা গোয়ালেরচর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদী ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে সভুকুড়া, পূর্ব সভুকুড়া, পশ্চিম মোহাম্মদপুর, পূর্ব মোহাম্মদপুর, মোহাম্মদপুর বালুর চর একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর আকন্দপাড়া জামে মসজিদ, ইসলামপুর হতে বকশিগঞ্জ সভুকুড়া ও মোহাম্মদপুর পাকারাস্তা মোড় হুমকিতে রয়েছে। ভাঙন এলাকার অনেকেই তাদের বসতি ঘর-বাড়ি অন্যত্র নিয়ে খোলা আকাশের নিচে প্রচন্ড রোদে বৃষ্টিতে ভিজে মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত ২৯ জুন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ভাঙন এলাকা ১২০ মিটার ৮ হাজার বালু ভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং করেন। ডাম্পিংকৃত পূর্বপ্রান্তে ভাঙনের সৃষ্টি হলে ভাঙন কবলিত এলাকা আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। অনেক ক্ষুদ্র কৃষক ভূমিহীন হয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষক আব্দুস সামাদ (৭৫) বলেন, আমার জানা মতে ব্রহ্মপুত্র নদী বেশ কয়েক বার ভাঙন দিয়েছে এই নদী আমরা অনেকেই ভাঙনের স্বীকার হয়ে পথে বসেছি। ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মৌলানা মো. মোশাররফ হাসাইন বলেন, জুন মাসের ভাঙনের সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে জানালে ভাঙন প্রতিরোধ তড়িৎ ব্যবস্থা নেন। এবারোও ব্যবস্থা না নিলে নদীর তীরবর্তী এলাকা ফসলি জমি বসতি ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, ব্রহ্মপুত্র নদী ভাঙনের কথা মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে তিনি পরিদর্শন করে ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন