শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরী : ব্রিটিশ হাইকমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২২, ৭:২১ পিএম

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেছেন, বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ করাটা অত্যন্ত জরুরী। পাশাপাশি সব নাগরিকের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, সঠিকভাবে ভোট গণনা, এবং নির্বাচনের ফলাফল সবার দ্বারা সমর্থিত হওয়ার বিষয়গুলোকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

আজ সোমবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং ফ্রেডরিক-এবার্ট-স্টিফটুং, বাংলাদেশ- এর যৌথ আয়োজনে ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
হাইকমিশনার আরো বলেন, এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পরও যুক্তরাজ্য তাদের শুল্কমুক্ত বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখবে। ব্রিটিশ সরকার বিদ্যমান জিএসপি ব্যবস্থার স্থলে ‘ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম’ নামে একটি নতুন স্কিম ঘোষণা করেছে। নতুন এ স্কিম অনুযায়ী, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্ক সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার- রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন তার বক্তব্যে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রতিরক্ষা নীতি, সমুদ্র নীতি, রোহিঙ্গা সমস্যা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। আলোচনায় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, গণতন্ত্রকে সুসংহতকরণ করার ক্ষেত্রে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক গুনগত মান বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন যে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে যা এই দুই রাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরো জোরদার করেছে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য নিরলসভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাজ করছে এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, আর্থিক সহায়তা, শিক্ষার সুযোগ প্রদানসহ নানা বিষয়ে তারা কাজ করছে। এছাড়াও জাতিসংঘের নিরাপত্তা বিভাগে এটি নিয়ে তারা আলোচনা করছেন। আফগানিস্তান, ইয়েমেন, এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সমস্যা প্রকট হওয়ার কারণে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অর্থায়নে কিছুটা সীমাবদ্ধতা তৈরি হলেও তারা এটি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট বাংলাদশের আরএমজি সেক্টরে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা, এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প রপ্তানিতে নেতিবাচক কোনো প্রভাব ফেলেনি। এলডিসি থেকে টেকসই উত্তরণের জন্য যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে ইচ্ছুক বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের প্রথম বারের মতো যে বিনিয়োগ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে তা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরো জোরদার করবে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং এর সঠিক প্রয়োগ, মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য থেকে বড় একটি ক্লাইমেট ফান্ড পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এক্ষেত্রে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ, গ্রীন এনার্জি, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়ন এবং সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য তিনি মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। কেবলমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর জোর না দিয়ে তিনি মানব উন্নয়নের উপর কাজ করতে বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে ছিলেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ-এর চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর এ চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটাং বাংলাদেশ-এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সাধন কুমার দাস।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন