মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাচগাও ইউনিয়নের গাড়ুরগাও, কুকরাদি থেকে হাসাইল বাজারে যাতায়াতে প্রধান সড়কের ব্যাংক এশিয়া থেকে একটু এগিয়ে বাবু দেওয়ানের বাড়ি হতে চার রাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা। এ সড়কে ছোট বড় গর্তে বেহাল দশায় দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, স্থানীয় এলাকাবাসীসহ হাজার হাজার পথচারীদের। দীর্ঘদিন ধরে হাসাইল ও পাঁচগাও ইউনিয়নের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির এমন বেহাল দশা থাকলেও সংশ্লিষ্টদের নজর নেই। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্থার না করায় বিভিন্ন অংশ থেকে ইট উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা থেকে ইট উঠে গেছে অনেক আগেই। এখন সেখানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দের। ফলে রাস্তাটিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃষ্টি হলে পানি জমে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। এই দশা প্রায় দেড় বছর ধরে। সংস্কারের অভাবে সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার খানাখন্দে ভরে গেছে। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। আবার অনেক জায়গায় গাড়ি চলার সময় কাদাময় হয়ে যাচ্ছে। সে গর্তে যাত্রীবহনকারী ভ্যানসহ তিন চাকার যানবাহনগুলো উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়েই পথচারীদের যেতে হচ্ছে এই রাস্তাটি দিয়ে।
এলাকাবাসীরা বলেন, শত শত ইজিবাইক, রিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করে। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
পথচারী হাসাইল বাজারের ব্যবসায়ী মো. জাকির শেখ (৩৭) বলেন, আমারা পাচগাও ইউনিয়নে বসাবস করি অথচ হাসাইল বাজারে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য যার কারণে প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ এই রাস্তাটি দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়।
অটোরিকশা চালক রহমান শেখ (২৭) বলেন, সড়কের এমন অবস্থায় আমরা নিরাপদে গাড়ি চালাতে পারিনা। অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাই। দ্রুত এই রাস্তাটির সংস্কার করে দিলে আমাদের সবার জন্যই উপকার হয়। ভ্যান চালক মোহর আলি (৩২) বলেন, যাত্রীদের গালমন্দ আর গাড়ির ক্ষতি মেনে ওই পথ দিয়েই গাড়ি চালাই। রাস্তাটি সংস্কার দ্রুত না হলে আমাদেরসহ যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে না।
জনতে চাইলে এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম জানান, আমি আমার টিম পাঠিয়ে পরিদর্শন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন