সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে নজির হোসেন নজু : থরে থরে সাজানো। ডালি, কাটন আর টুকরিতে। বাউকুল, আপেল কুল, নারকেল কুলসহ নানা জাতের বড়ই। পাইকারী বাজার থেকে কিনছেন ছোট্ট দোকানীরা। ফলে জমে উঠেছে কুলের বিশাল বাজার। নীলফামারীর সৈয়দপুরের ঘুণ্টি এলাকায় এই পাইকারী কুলের বাজারে স্থানীয়সহ খানসামা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, বদরগঞ্জ প্রভৃতি এলাকার নানা জাতের বড়ই আসছে, বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। উত্তরের ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র এবং রংপুর ও দিনাজপুর জেলার মধ্যবর্তী স্থান সৈয়দপুর। প্রতিদিন সকাল ৭টায় এই বড়ইয়ের পাইকারী বাজার শুরু হয়ে চলে সর্বোচ্চ দুপুর ১২টা পর্যন্ত। দূর-দূরান্তের কুল চাষিরা রিকশা-ভ্যান, পিকআপ, নছিমন-করিমন কেউবা ট্রেনে করে এসব নানা জাতের বড়ই নিয়ে আসেন এই বাজারে। তারপর চলে দরদামের পালা। আড়তদারদের সহযোগিতায় সেই কুল মন দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলনামূলক বেশি ভীড় লক্ষ্য করা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এছাড়া শহরের গোলাহাট, রেলকারখার গেট বাজার, চৌমহনী, নিচুকলোনী ও বিমানবন্দর বাজার ছাড়াও গ্রামের হাটগুলোতে বসছে খুচরা কুলের বাজার। কুলের প্রকার ভেদে নির্ধারণ করা হচ্ছে দাম। ভালো জাতের কুল কৃষকরা বিক্রি করছেন কাটন হিসেবে। আর পাইকাররা সেই কাটনের কুল বিক্রি করছেন গড়ে প্রতিকেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। খুচরা পাইকাররা সেই বাউকুল ৭০ টাকা আর আপেল কুল ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। ফলে কুলের উৎপাদনকারী চাষী দাম পাচ্ছেন সামান্য। মূল লাভটা ঘরে তুলছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। কুল চাষি সমসের আলী, আতাহার আলী ও মেছের মামুদ জানান, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কুলের ফলন ও আকার দুটোই ভালো হয়েছে। এছাড়া দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন