কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে কামরুল হাসান : তফসিল ঘোষণা না হলেও নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই বেশি আগ্রহী হচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে এবার সাদুল্লাপুর, রাধাগঞ্জ, ইউনিয়নে ১১ আওয়ামী লীগ ১ বিএনপি সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতিমধ্যে তারা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দলীয় ও ব্যক্তি পরিচয় তুলে ধরছেন এবং জনসাধারণের মন গলাতে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন তারা। এবার প্রথমবার দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা ও ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী হয়েছেন প্রার্থীরা। মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় প্রতীক নৌকা না পেলেও তারা কেউ কেউ সাধারণ ভোটারদের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তবে বিএনপি’র ক্ষেত্রে একক প্রার্থীই লড়বেন। সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ হলে তারা জানান, দল থেকে যাকে সমর্থন দিবে আমরা তাকেই ভোট দিব। নির্বাচন সামনে রেখে যারা সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী তারা হলেন সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধালীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ প্রভাবশালী সদস্য, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মহানন্দ মল্লিক জানান, আশাকরি ইউয়িনে সার্বিক পরিস্থিতি দলীয়ভাবে বিবেচনা করে এবং যোগ্য মনে করে দল আমাকে সমর্থন দিবে। সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সিনিয়র সদস্য ও কাজী মন্টু ডিগ্রি কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ গাইন জানান, দলীয় বিবেচনায় আমাকে মনোনয়ন দিবে বলে আশা করি। সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এফএম ওয়াজেদ আলী বলেন, দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশা করি। দেশবন্ধু বিশ্বাস বলেন, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করি। না পেলে জনগণের সমর্থন নিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। গোপালগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজ সেবক রঞ্জন মল্লিক জানান, সাদুলাপুরে দল থেকে আমাকেই মনোনয়ন দিবে বলে আমি আশা করি এবং আমাদের বিএনপি’র কর্মী সমর্থকরা আমার সাথে কাজ করবেন। অন্য দিকে সমর চাঁদ মৃধা (খোকন) ও সুব্রত বাড়ৈ নাম শোনা যাচ্ছে। রাধাগঞ্জে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চারবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও কাজী মন্টু কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক প্রষ্ঠিাতা সভাপতি এবং নেছারউদ্দিন তালুকদার স্কুল এন্ড কলেজের সম্মানিত সদস্য নিবেদিতপ্রাণ বিশিষ্ট সমাজ সেবক ফরিদ আহমেদ শিকদার জানান, সততা ও নিষ্ঠার সাথে যেভাবে দলের জন্য শ্রম দিয়ে যাচ্ছি সেটা মাথায় রেখে দল আমাকে মনোনয়ন দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০-এ সৈরাচার বিরোধী রাজপথের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের আরেক লড়াকু সৈনিক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য বর্তমান চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদার তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নবাসীকে যে সেবা প্রদান করেছি এবং দলীয় কর্মসূচি পালন করেছি তাতে মনে করি দল আমাকে মনোনয়ন দিবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদরে সাবেক সদস্য মাইকেল হিরোহিত বিশ্বাস ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ভীম চন্দ্র বাগচী, রাধাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সর্বানন্দ বৈদ্য এর নামও শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও দুটি ইউনিয়নে প্রায় শতাধীক মেম্বার প্রার্থী রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন