রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ১৯ বছর বয়সী এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণী কে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
আটককৃত আসামীর হলেন ১। মোঃ সজল বেপারী @ শরিফ বেপারী (২৮), পিতা-মোঃ লাল মিয়া বেপারী, সাং-গোয়ালন্দ বাজার আড়ৎপট্টি,পৌর ৬নং ওয়ার্ড, ২। মিঠু (৩৮),পিতা-আলতাফ ডাক্তার, সাং-গোয়ালন্দ বাজার ঘোষপট্টি, ৬নং ওয়ার্ড, গোয়ালন্দ পৌরসভা, ৩। মোঃ আলামিন শেখ (২৮), পিতা-মৃত তোতা শেখ, সাং-উত্তর উজানচর নতুন পাড়া, সর্ব থানা-গোয়ালন্দ ঘাট, এজাহার নামীয় একজন আসামী পলাতক রয়েছে। এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২ জন আসামী রয়েছে।
থানা সূত্রে জানাযায় যে, বাদী একজন দিন মজুর। প্রতিদিনের ন্যায় ইং-২০.০৮.২০২২ তারিখ কাজ শেষে বাড়ীতে এসে রাতের খাবার খেয়ে রাত্র অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় পরিবারের লোকজন সহ ঘুমিয়ে পড়ে। ইং-২১.০৮.২০২২ রাত্র অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় বাদী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মেয়ে ঘরে নাই। তখন বাদী ও তার মেজো ভাই সহ বাদীর মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে বাদীর বাড়ী থেকে অনুমান ০.৫ কিলোমিটার পশ্চিমে গোয়ালন্দ বাজার হতে দৌলতদিয়া ঘাট গামী রেল লাইনের ব্রীজের কাছে যায়। বাদীর মেয়েকে খোঁজা খুঁজি করাকালে উত্তর উজানচর নতুন পাড়াস্থ রেল লাইন ব্রীজের অনুমান ২০ গজ দক্ষিনে রেল লাইনের পশ্চিম পাশে নিচু সমতল জায়গায় দুই পাশে রাখা পাটকাঠির মাঝখান থেকে ইং-২১.০৮.২০২২ তারিখ রাত্র অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় কয়েকজন লোককে দৌড়ে যেতে দেখে। বাদী ও তার ভাই উক্ত স্থানে গিয়ে বাদীর মেয়েকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায় এবং ১ ও ২নং আসামীকে ঘটনাস্থলে ধরে ফেলে। আসামী মোঃ শরিফ বেপারী ও মিঠু বাদীর কাছে ক্ষমা চায়।। বাদী লোক লজ্জার ভয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়ীতে চলে আসে। পরদিন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাদীর মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদীর কাছে বিস্তারিত শুনে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে যেতে বলে। বাদী গরীব ও অসহায় বিধায় টাকার অভাবে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে যেতে পারে নাই। পরে বাদীর আত্মীয় স্বজনের পরামর্শে ২৩.০৮.২০২২ তারিখ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ঘটনার বিষয়ে জানায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাদীর কাছে বিস্তারিত শুনে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে জানান।
এবং অফিসার ইনচার্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে গিয়ে বিস্তারিত শুনে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পায়। বাদী থানায় হাজির হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ এবং ২ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার বলেন,বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ৩জন আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের কে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। মামলা নং-২২, তারিখ-২৩/০৮/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/০৩) এর ৯(৩)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন