রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পান চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে গঙ্গাচড়ার কৃষক

| প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গঙ্গাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় পান চাষ করে অনেকে সাবলম্বী হচ্ছেন। শীতের কারণে পান চাষ কম হলে দাম বেশি পাওয়ায় লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। গোটা পানের বরজ খড়, বাঁশ দিয়ে ছাউনি ও বেড়া তৈরি করেন। খড়, বাঁশ মজুরির দাম বেশি হলেও পানের দাম বেশি পাওয়ায় পান চাষিরা বেশ খুশি। ফলে এ গ্রামের অন্যতম অর্থকারী ফসল হিসাবে পান চাষের দিকে দিন দিন ঝুঁকে পড়ছেন। ফলে কৃষকরা অল্প মূলধন লগ্নি করে সারা বছরই আয়ের পথ সৃষ্টি করছেন। পান চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে পান চাষিরা লোকসানের মুখ দেখলেও বর্তমানে ঠিকমতো বাজারজাতকরণের ফলে পান চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। সরেজমিনে আলাদাদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় অন্যান্য রবি শস্যের তুলনায় পান চাষে খরচ অপেক্ষাকৃত বেশি এবং অনেক পরিশ্রম ও সবসময় নজর রাখতে হয়। এখানে প্রায় ৫০-৬০ ঘর পরিবার পান চাষের উপর নির্ভরশীল। গঙ্গাচড়ায় নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে ১নং বেতগাড়ী ইউনিয়নে আলদাদপুর গ্রামে উঁচু জমিতে পান চাষ হচ্ছে। সরকারিভাবে পান চাষ সহায়তা, প্রশিক্ষণ বা তদারকি না থাকলেও সনাতনী অভিজ্ঞ চাষিরা পান চাষ করেন। লাভ লোকসান মিলিয়ে মোটামুটি দিন ভালোই চলে। পানচাষি-কালিদাস, গোপাল, অনুকূল, সচিন, নারায়ণ, জগদিশ, মানিক, সুবোধ, দীলিপ, মন্টু, নিমাই এদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একশত অর্থাৎ আশিটায় পানের-শ  ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়। পাইকারিরা বাড়িতে এসে নিয়ে যান। তবে তারা জানান খৈল, ভূষি, শুটকির গুড়া পানির সেচ দিতে বর্তমানে অনেক খরচ পড়ে। তারপরও দাম ভালো হওয়ায় পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কিন্তু সরকারিভাবে সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া পুষিয়ে উঠা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কৃষি অফিসার আবদুল্লা আল মামুন বলেন, শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে পান বাজারজাতকরণে কোনো ক্ষতি না হয়। সে জন্য নিয়মিত পরিচর্যার পাশাপাশি পানবর ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে। তবে সরকারিভাবে পান চাষিদের সহযোগিতা করার মতো কোনো নিয়ম বা পদ্ধতি কৃষি বিভাগের কাছে নেই। 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন