রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

প্রতিবন্ধী কদর আলী চায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে

| প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : কাজিপুরের দুর্গম চরাঞ্চলে খাষশুড়িবেড় গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে প্রতিবন্ধী কদম আলী ভিক্ষাবৃত্তি নয় কাজ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। গত বুধবার কদম আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তিনি জামা তৈরির কাজ করছেন। কদম আলী জানান, প্রাকৃতিকভাবে সে প্রতিবন্ধী হয়ে পিতা-মাতার গলগ্রহ হয়ে জন্মগ্রহণ করেন। দশ বছর বয়সে তার পিতা মারা যাওয়ায় তার জীবনের উপর নতুন করে অমানিশার ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। যমুনার ভাঙনের কবলে পড়ে অনেক আগেই জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় অন্যের বাড়িতে মাথাগুঁজে পড়েছিলেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম পিতাকে হারিয়ে পরিবারটি একেবারে দিশেহারা হয়ে যায়। পিতার অবর্তমানে দুখিনী মা ঝিয়ের কাজ করে সংসারের হাল ধরেন। কিন্তু বালক কদম আলীর মনে তা কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষাবৃত্তি করা তাঁর মনে কখনো সায় দেয়নি। তার সবসময় চিন্তা ছিল নিজে কিছু করা। ঠিক সেই সময় নাটুয়ারপাড়া এলাকার তরুণ সমাজসেবক জাহিদুল হাসান স্বপন, খাষশুড়িবেড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, নাটুয়ারপাড়া ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিন, সোনালী ব্যাংক নাটুয়ারপাড়া শাখার ম্যানেজার আব্দুল লতিফ কা-ারীর মত তাঁর দিকে হাত বাড়ায়। নিজেরা সহযোগিতার পাশাপাশি কদম আলীর অসহায় অবস্থার কথা এলাকার দানশীল ব্যত্তিত্ব ঢাকায় অবস্থিত বসুন্ধরা গ্রুপের ম্যানেজার আমিনুল ইসলামের নিকট থেকে কদম আলীর জন্য সেলাই মেশিনের ব্যবস্থা করে দেন। সেই সাথে কিছু আর্থিক সহযোগিতায় কদম আলী এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। কদম আলী সেলাইয়ের কাজ করে সংসারের স্বচ্ছলতাই আনেননি নিজের এবং পরিবারের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। এ বিষয়ে জাহিদুল হাসান স্বপন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমিনুল ইসলাম শুধু কদম আলীকেই নয় এলাকার ২৫ জন প্রতিবন্ধী পরিবারসহ শতাধিক দুঃস্থ পরিবারকে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন