কুমিল্লা বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার অনুমোদনহীন অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে এবং বাড়ছে মৃত্যু। তবে সর্তকতার সাথে রেলক্রসিংগুলো পারাপারের পরামর্শ রেল বিভাগের।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া দুই উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১৬ কি.মি. রেলপথ রয়েছে। এই রেল পথে মোট ১৪টি রেলক্রসিং থাকলেও অনুমোদিত ৩টি লেভেল ক্রসিংয়ে গেট এবং গেটম্যান রয়েছে। বাকি ১১টি অনুমোদনহীন অরক্ষিত রেলক্রসিং। এই রেলক্রসিংগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যু। সরেজমিনে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার হরিমঙ্গল রেলক্রসিংয়ে দেখা যায়, সেখানে রয়েছে অনুমোদনহীন রেলক্রসিং। গেটের ব্যারিকেড নেই গেটম্যান ও নেই, গেটম্যান এবং ব্যারিকেড না থাকায় চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শশীদল ও সীমান্তবর্তী ইউপির মানুষ।
২০১২ সালের শশীদল সংলগ্ন রেল ক্রসিংয়ে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে ৩ জন বাস যাত্রী প্রাণ হারান। এবং বহু লোক আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। পরে রেল বিভাগ ওই রেলক্রসিংটি অনুমোদন দিয়ে গেটম্যান নিয়োগ দেন। ছাড়াও প্রতিদিন দুই উপজেলার কোন কোন স্থানে ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ছোট বড় যানবাহন ও সাধারণ মানুষ।
এ ব্যপারে শশীদল স্টেশন মাস্টার মজিবুর রহমান বলেন, অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন। অনুমতি ছাড়া রেলক্রসিংগুলোতে সাবধানে চলাচল করা উচিত।
রেলওয়ের সিনিয়র সাব-এ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অনুমোদিত ৩টি লেভেল ক্রসিংয়ে রাত-দিন গেটম্যানরা নিয়মিত ডিউটি করছেন। এ ছাড়া লেভেল ক্রসিংয়ে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেয়া আছে এবং সকলকে সেগুলো দেখিয়ে চলতে বলা হয়েছে। যদি কেউ অসাবধানবশতঃ দুর্ঘটনার শিকার হয় এর দায় রেলের নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন