মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় সোমবার (২৯ আগস্ট) বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খামারপাড়া ও বারইপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি।
এদিকে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠন। এ সময় বিএনপির অনন্ত ৭ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। গুরুতর আহত ৩ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে শ্রীকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদকে খামারপাড়া গোরস্থান মোড় থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, দুপুরে গোয়ালপাড়া এলাকায় ২ বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ও তাদের বহনকারী নসিমন গাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও সমাবেশে আসার পথে বিভিন্ন এলাকায় কয়েকজন বিএনপি নেতা-কর্মী হামলার শিকার হন।
সকাল থেকেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ও নাকোল ইউপি চেয়ারম্যান হুমাউনুর রশিদ মুহিত, সহ-সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিয়ার রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক আবদুল হালিম মোল্যা, কাজী তারিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রামসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তারা শ্রীপুর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে থেকে খামারপাড়া গোরস্থান মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল
করে।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রতিরোধের মুখে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম হিরোর নেতৃত্বে উপজেলা সদরের বাইরে খামারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল ১০টায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। কিন্তু সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। প্রতিরোধের মুখে বিএনপি খামারপাড়া স্কুলে সমাবেশ করতে না পেরে খামারপাড়া বাজার রোডে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বারইপাড়া গ্রামে গিয়ে অবস্থান নেয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম হিরো, সাধারণ সম্পাদক মুন্সী রেজাউল করিম, দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রদীপ, উপজেলা বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার, খলিলুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মুুন্সী জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা।
তবে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম জোয়ার্দার ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্বাস উদ্দিনের গ্রুপের কেউ অংশ নেয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
উভয় দলের সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষণীয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল দিতে দেখা যায়। তবে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলেও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন