শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম

পাংগাশিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

মো. জাকির হোসেন, পটুয়াখালী থেকে | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

ভবনের ভীম, ছাদের পলেস্তার খুলে পড়ছে শিক্ষার্থীদের মাথার ওপরে, ছাদ চুইয়ে পড়ছে পানি এ রকম চরম ঝুঁকির মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম চলছে পাংগাশিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভবনটিতে।
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে ১৯৯১ সালের পূর্বে নারীদের ভোট দেয়ার কোন অধিকার ছিল না। সেই ইউনিয়নে ১৯৮৫ সালে এলাকার দানশীল ব্যক্তিদের প্রচেষ্ঠায় নারী শিক্ষা এগিয়ে নিতে ১ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় পাংগাশিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি। ১৯৯৫ সালে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ তিন কক্ষের একটি একতলা ভবন নির্মাণ করে দেয়, বর্তমানে ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইতোমেধ্য তিনকক্ষের একতলা ভবনটির একাধিক স্থানের ভীমের পলেস্তার খুলে খালি রড বের হয়ে গেছে, ছাদের পলেস্তার খুলে পড়ছে।
পাংগাশিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালে ১৯৮৫ সালে মাটির মেঝের ৭৫ ফুটের একটি টিনের ঘড় দিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করা হয়। নদীর তীরবর্তী এলাকার স্কুলটি ঘূর্র্ণিঝড় সিডরে সম্পূর্ন বিধ্বস্ত হয়, সে সময় সরকারিভাবে অর্ধলক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে আইলা, নার্গিস, ফনি, আম্পান, মহাসেনসহ একাধিক ঘূর্র্ণিঝড়ে টিনের ঘরসহ স্কুলের সিমানা বেড়া ক্ষতিগ্রস্থ হলেও মেলেনি কোন সরকারি বরাদ্দ। বর্তমানে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে চরম ঝুঁকির মধ্যে। একদিকে ভবনের ছাদ, ভীমের পলেস্তার খুলে পড়ছে শিক্ষার্থীদের গায়ের ওপর। অন্যদিকে টিনের ঘড়টি যে কোন মুহূর্তে ঘূর্র্ণিঝড়ের কবলে পড়ে সম্পূর্ন বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ব্যবহার অনুপযযোগী একমাত্র টয়লেটটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে ব্যবহার করছেন। ঘূর্র্ণিঝড় ইয়াসে স্কুলের সীমানার টিনের বেড়াটি সম্পূর্ন রুপে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ টিনের বেড়া মেরামত করলেও প্রতি বছরই ঘূর্র্ণিঝড়ের আঘাতে বেড়া বিদ্ধস্ত হয়।
দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মারিয়াম আক্তার আনিকা, ইশরাত জাহান মারিয়া তীশা বলেন, আমরা চরম আতংকের মধ্যে ক্লাস করছি, একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে গায়ে পানি পড়ে, এ ছাড়াও মাঝে মাঝে ছাদ ও ভীমের পলেস্তার খুলে পড়ছে আমাদের উপর। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, আমরা মেয়েরা গ্রামের এ স্কুলটির উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। তিনি যদি সদয় হয়ে আমাদের স্কুলের জন্য একটি ভবন করে দিতেন, তবে এ গ্রামের মেয়েদের শিক্ষার পরিবেশটা আরো উন্নত হতো।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভবনের এ চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা জানিয়ে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে একটি নতুন ভবনসহ টিনসেডটি মেরামতের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোন সহায়তা পাইনি। বর্তমানে স্কুলের ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী নয়, যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। স্কুলের জন্য একটি নতুন ভবনসহ স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে টিনসেডটি মেরামতে জরুরি আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন