ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) গত সোমবার পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পিইএমআরএ)-এর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছে।
গত ২০ আগস্ট ইসলামাবাদে একটি জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় কারাবন্দী দলের নেতা শাহবাজ গিলের সাথে সংহতি প্রকাশকালে জনাব খান শাহবাজ গিলের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ইসলামাবাদ পুলিশকে কটাক্ষ করেন এবং বিচারককে সতর্ক করেন, যিনি তাকে পাঠিয়েছিলেন। সমাবেশের পরপরই পেমরা পিটিআই প্রধানের বক্তৃতা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে এবং তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করা হয়।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করার আবেদনের শুনানিকালে পর্যবেক্ষণে বলেছেন যে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে, পিইএমআরএ তার কর্তৃত্ব অতিক্রম করেছে। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট পিইএমআরএ এবং পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নোটিশ পাঠিয়েছে।
বিচারপতি মিনাল্লাহ আরো যোগ করেছেন যে, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ইমরান খানের বক্তৃতা নিষিদ্ধের কোনো উপযুক্ত কারণ নেই। পিইএমআরএ-এর এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করার ক্ষমতা নেই’।
৫ সেপ্টেম্বরের জন্য নির্ধারিত পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত করে আদালত আরো নির্দেশ দেয় পিইএমআরএ-কে একজন অফিসারকে হাজির হয়ে প্রজ্ঞাপন জারির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য মনোনীত করতে।
এদিনের শুনানির সময় পিটিআইয়ের আইনজীবী আলি জাফর যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ‘আজ ইমরান খান বন্যাদুর্গতদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছেন, বিশেষ করে বিদেশী পাকিস্তানিদের কাছ থেকে। তবে, তাকে সরাসরি বক্তৃতা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। পিইএমআরএ-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, ইমরান খানের বক্তৃতা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী’।
এরপর আদালত পেমরার সেই বিজ্ঞপ্তি পড়ার নির্দেশ দেন যাতে ইমরান আইজি, ডিআইজি এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জেবা চৌধুরীকে হুমকি দিয়েছিলেন। প্রজ্ঞাপন পাঠ করার পর আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘আপনি কি ইমরান খানের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আদালত সুরক্ষিত কিন্তু কিছু বিষয় এর বাইরে পড়ে’। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন