বাংলাদেশের শান্তা শিকদারকে হত্যার দায়ে তার স্বামী সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ। গত সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পুমালাঙ্গা প্রদেশের লাইডেনবার্গ শহরের পাশের একটি জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে শান্তার পাসপোর্ট ও মুঠোফোনও উদ্ধার করে পুলিশ। দুই-এক দিনের মধ্যে তাকে আদালতের মাধ্যমে সেখারকার জেলহাজতে পাঠানো হবে। শান্তার আত্মীয় দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী পলাশ শিকদার এবং চাচাতো ভাই আরিফ শিকদার এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
গত রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১টার দিকে সুমন মিয়া তার নিজ বাসায় স্ত্রী শান্তাকে পিটিয়ে ও চাকুর আঘাতে খুন করে পালিয়ে যান। শান্তা মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালাম শিকদারের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, পার্শ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের খোকা মাস্টারের ছেলে সুমন মিয়া আট বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। সেখানে লাইডেনবার্গ শহরে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। এক বছর আগে থলপাড়া গ্রামের চাচাতো মামা আব্দুস ছালাম শিকদারের মেয়ে শান্তা শিকদারকে পারিবারিকভাবে মুঠোফোনে ভিডিওকলে বিয়ে করেন সুমন। ছয় মাস আগে শান্তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যান স্বামী সুমন। এর কিছু দিন পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১টার শান্তাকে পিটিয়ে ও চাকুর আঘাতে সুমন মিয়া খুন করে পালিয়ে যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন