মাদারীপুর সদর উপজেলার শতাধিক শিক্ষক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রেখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে না জানিয়েই মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার তিনটি ক্লাস্টারের মোট ৬৭টি স্কুলের সব শিক্ষকদের গত বৃহস্পতিবার ৩টায় উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে নির্দেশ দেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়্যোদাতুন নেছা রুপা। মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করার জন্য দুপুরে পরই বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয় শিক্ষকরা। এতে ৬৭টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। এতে করে ক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ। টিআইবির উদ্যোগে গঠিত মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য এম আর মর্তুজা বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পাঠদান বন্ধ রাখা সুযোগ নেই। পাঠদান বন্ধ রাখা হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। যদি কেউ করে থাকে তাহলে এটা ঠিক হয়নি। সরেজমিন দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ১১ নং মহিষেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুপুর ২টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে, ১৫২ নং পূর্ব রাস্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অথচ সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটি ঘোষণার পর থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্ম ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা রয়েছে। পাঠদান বন্ধ রেখে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহনের বিষয়টি তাকে অবগত করা হয়নি বলেও জানান। এব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়্যোদাতুন নেছা রুপার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন