বিধবা ঝর্ণা আক্তার তার দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে এই অনশন করেন। এসময় শশুর বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং দুটি চৌচালা টিনের ঘর তালাবদ্ধ দেখা গেছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলী ইউনিয়নের গোপচর গ্রামের মরহুম মজনু মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার তার স্বামীর হক ফিরে পেতে শশুরালয়ে গত শনিবার বেলা ১১ টায় অনশন শুরু করেন।
বিধবা ঝর্ণা আক্তার বলেন, ১৯ বছর পূর্বে গোপচর গ্রামের মৃত আ. রব মিয়ার বড় ছেলে মজনু মিয়ার সাথে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। সংসার জীবনে আমাদের তিনজন কন্যা সন্তান হয়। ২০১২ সালে আমার স্বামী মৃত্যু বরণ করেন। তার কয়েক বছর পর আমার শ্বশুর আ. রব মিয়াও মৃত্যু বরণ করেন। শশুরের মৃত্যুর পর থেকে ননদ মার্জিয়া আক্তার, মায়া আক্তার, সাহিদা আক্তার, দেবর বশির মিয়া ও ননদের স্বামী আবিদ আলী, আমাকে ও আমার তিন কন্যাসহ স্বামীর ভিটে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
আমার বড় মেয়ে সাবরিনা আক্তার মাহি (১৩) অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে, মেজো মেয়ে মিথিলা আক্তার (১১) ও ছোট মেয়ে মরিয়ম (৯) তাদেরকে নিয়ে আমার বাপের বড়িতে থাকি এবং মানবেতর জীবনযাপন করছি।
আমি আমার স্বামীর হক এবং আমার মেয়েদের হক ফিরে পেতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি। জিংলাতলী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আফরোজা আলম বলেন, মরহুম মিজান মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার ও তার মেয়েদেরকে মজনু মিয়ার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে মানসিক নির্যাতন করে তার ননদ মার্জিয়া, মায়া, সাহিদা ও দেবর বশির মিলে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মোল্লা বলেন, মজনু মিয়া মৃত্যুর পর তার পিতা মৃত আ. রব মিয়া জীবিত থাকতেই মজনু মিয়ার মেয়েদেরকে ছয় শতক ভূমি রেজিস্ট্রেশন করে দিয়ে গেছে, তবে ঐ ভূমি বসবাস করার উপযোগী না। মৃত আ. রব মিয়ার অন্য ছেলে-মেয়ারা মৃত মজনু মিয়ার স্ত্রী ও মেয়েদের ওপর অবিচার করতেছে, আমিও চাই মজনু মিয়ার তিন মেয়ে যাতে তাদের পিতার হক ফিরে পায়।
এদিকে আবিদ আলী বলেন, আমার শশুর জীবিত থাকা অবস্থায় সকল সম্পত্তি বন্টন করে দিয়ে গেছেন। আমাদের কারো কোন হাত নেই, যাকে যেখানে দিয়ে গেছে সেখানেই আমরা বসবাস করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন