তিনমাস বন্ধ থাকার পর বাঁশ পরিবহণ চালু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাঙামাটি কাপ্তাই আপস্ট্রিম জেটিঘাটে নদী হতে ট্রাকে বাঁশ বোঝাই ও পরিবহন করতে দেখা যায়। বাঁশের বংশ বিস্তার ও প্রজননের জন্য (জুন হতে আগস্ট) এ তিন মাস সকল ধরনের বাঁশ কর্তন ও পরিবহণ বন বিভাগের পক্ষ হতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া থাকে। বাঁশ বংশ বিস্তারের জন্য রাইজোম এর মাধ্যমে আবার কোন কোন বাঁশ বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে থাকে। কিন্ত এ তিন মাস বাঁশ প্রজনন মৌসুম বিধায় পার্বত্যঞ্চলে সকল ধরনের বাঁশ কর্তন ও পরিবহণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং এ মেয়াদ গত ২ সেপ্টেম্বও থেকে তুলে নেয়া হয়। এদিকে কাপ্তাইয়ে আপস্ট্রিম জেটিঘাটে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা বাঁশ ট্রাক বোঝাই করছে পরিবহণের জন্য। বাঁশ ব্যবসায়ী আব্দ্লু মান্নান ও আবুল কাশেম জানান, ২ সেপ্টেম্বর হতে বাঁশ পরিবহণের চালু করা হলেও বিভিন্ন জটিলতা ও ট্রাক পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁশ ব্যবসায়ী কার্যক্রম বন্ধ রাখে। গত বুধবার বাঁশ ব্যবসায়ী, ট্রাক মালিক এদের নিয়ে জটিঘাট বাঁশ ব্যবসায়ী সমিতি কার্যালয়ে একটি জরুরি সভার মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার হতে পুনরায় বাঁশ পরিবহণ চালু করা হয়। আবুল কাশেম নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, আগে একট্রাক বাঁশ বোঝাই করে ঢাকা নিতে ট্রাক ভাড়া লাগত ৩৩ হাজার ৩৭০টাকা। কিন্ত তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে বর্তমান বাঁশের গাড়ি ঢাকা নিতে দিতে হচ্ছে ৪০ হাজার ৩৭০ টাকা। এতে বাঁশ ব্যবসায়ীর মাথায় হাত। বাঁশের চেয়ে পরিবহন মূল্য বৃদ্ধি। যার ফলে ব্যবসায়ীরা আগামিতে বাঁশ ব্যবসায় নিরুৎসাহিত হয়ে পথে বসার শঙ্কা প্রকাশ করছে।
বাঁশ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ফজল আলম ও নুরুল আলম বাটন জানান, ক্ষতি পোষাতে না পারলে আগামিতে পার্বত্যঞ্চল হতে বাঁশ ব্যবসা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। কোন ব্যবসায়ীরা লস দিয়ে ব্যবসা করবে না। ফলে সরকার রাজস্ব হারাবে, এবং পাশাপাশি ট্রাক পরিবনহন ও ব্যবসায়ীর ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
কাপ্তাই জেটিঘাট বনশুল্ক পরীক্ষণ ফাঁড়ি স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন জানান, প্রতি বছরের ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ হতে জুন হতে আগস্ট বংশ বিস্তারের জন্য বাঁশ কর্তনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তিন মাস পর বাঁশ কর্তন ও পরিবহন চালু হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন